বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন শাহজাদী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শারমিন শাহজাদী বলেন, আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে আমাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন আদালত।
গত ২৬ আগস্ট (রোববার) দুপুরে সদর আমলী আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোজিনা খানের আদালতে ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিসহ শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সামিয়া শারমিন উষা। আদালত মামলাটি গ্রহণ না করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে শারমিন শাহজাদী বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) তদন্তের বিষয়ে আদালতের নির্দেশনার চিঠি হাতে পেয়েছি। এরপর দু’দিন সাপ্তাহিক বন্ধ ও বিভাগীয় অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি থাকায় তদন্ত কাজ শুরু করতে পারিনি। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী রোববার থেকে এ শুরু করবো। আমি প্রথমে সামিয়া ও তার পরিবার এবং পরে মোসাদ্দেক ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলবো। এরপর মোসাদ্দেক ও সামিয়াকে একসঙ্গে আমার অফিসে ডাকবো। যদিও খেলার জন্য মোসাদ্দেক দেশের বাইরে রয়েছেন।
জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা দিলখুশ জাহান বলেন, তদন্তের জন্য আমাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় আছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা আদালতের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবো।
ডিভোর্সের অভিযোগ প্রসঙ্গে সামিয়া শারমিন ওই সময় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘তিনি কোনো ডিভোর্সের কপি পাইনি। তাই তিনি এখনো মোসাদ্দেকের লিগ্যাল ওয়াইফ। আর একপক্ষে কোনোদিন ডিভোর্স হয় না। ’
মোসাদ্দেক ওই সময় দাবি করেন, সামিয়া তার মায়ের সঙ্গে এক বাড়িতে থাকতে আপত্তি তুলে এবং প্রায়ই তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতো। এর ফলে তিনি ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন। ডিভোর্স দেওয়ার পরপরই সামিয়া তার বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুকের মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
এমএএএম/ওএইচ/