বৈঠকে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল ব্যবস্থায় অনেক অপরাধ হচ্ছে।
তিনি বলেন, অপরাধমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আইনের দরকার আছে এ ব্যাপারে বৈঠকে সবাই ঐক্যমত পোষণ করেছেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আগামী ৩ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠক আছে, সেখানে হয়তো এ আলোচনা করা সম্ভব হবে না। এর পরের বৈঠকে আলোচনা করে এ আইন নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য সম্মতি নিতে হবে। সেই সম্মতি পেলেই আমরা সাংবাদিক নেতাদের নিয়ে আবার বসবো। আলোচনা করে আইন সংশোধন করা হতে পারে বলে তিনি ইঙ্গিত দেন।
তিনি জানান, আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩ ধারা নিয়ে আপত্তি এসেছে। এর মধ্যে ২১ ধারায় তেমন কোনো পরিবর্তন দরকার হবে না। অন্য ধারাগুলো আলোচনা হতে পারে।
সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, আইনটি সাংবিধানিক অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী। এটা পাস হওয়ার আগে আলোচনা চলছিল। তৃতীয় একটা মিটিং হওয়ার কথা ছিল। তা কেন আর হলো না, আমরা জানি না। হঠাৎ পেপারে দেখলাম সংসদে উঠেছে আইনটি।
তিনি বলেন, আবার আলোচনা শুরু হয়েছে। আশা করবো আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ বের হবে।
বৈঠকে সম্পাদক পরিষদের মধ্যে থেকে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, কালের কন্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, নিউ এজের সম্পাদক
নূরুল কবির, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তাফিজ শফি, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান, নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত আছেন।
এর আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংসদে পাস হওয়ার পর এর প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মানববন্ধের ডাক দিয়েছিল সম্পাদক পরিষদ। গত শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এ মানববন্ধন হওয়ার কথা ছিল। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে সে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮
এজেড/এসএইচ