শুক্রবারের অনুশীলন শেষ করেই জুমার নামাজ আদায়ের জন্য ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নূরে যায় ক্রিকেটাররা। তবে জানা গেছে ক্রিকেটাররা সবাই নিরাপদে ও সুস্থভাবে টিম হোটেলে পৌঁছেছেন।
এ ঘটনার পর টুইটারে নিজের অনুভূতি জানিয়ে ওপেনার তামিম ইকবাল লেখেন, ‘পুরো দল গোলাগুলির হাত থেকে বেঁচে গেলো। খুবই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা, সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। ’
মুশফিক লেখেন, 'মসজিদে গোলাগোলির মধ্যেও আল্লাহ আমাদের নিরাপদে রেখেছেন। আমরা খুবই ভাগ্যবান। সর্বময়কর্তাকে ধন্যবাদ। আমরা এত কাছ থেকে এমন অভিজ্ঞতার মুখে আগে কখনও পড়িনি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। '
দলের ডাটা অ্যানালিস্ট শ্রিনিবাস তার টুইটার একাউন্টে লিখেছেন, ‘মাত্রই এক বন্দুকধারীর হাত থেকে রক্ষা পেলাম। এখনো শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হচ্ছে না। ভয় কাজ করছে সর্বত্র। ’
জাতীয় দলে ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়েন বলেন, ‘আমি ঘটনার পরপরই ক্রিকেটারদের সবার সঙ্গে এক এক করে কথা বলেছি। তারা কিছু দেখেনি তবে গুলির আওয়াজ শুনে হাগলি পার্ক দিয়ে মাঠে ফিরে গেছে। কোচিং স্টাফের সবাই টিম হোটেলেই ছিলেন। খেলোয়াড়রা গোলাগুলির শব্দ শুনেই দৌড়ে নিরাপদ স্থানে গিয়েছেন। ’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ওয়েবসাইট থেকে জানানো হয়েছে, ‘শহরের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যরা যারা নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে তারা সবাই নিরাপদে হোটেলে পৌঁছেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক দলের সদস্য ও টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। ’
জানা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ২০ থেকে ৩০ জনের মতো আহত হয়েছেন। হামলাকারীর হাতে অটোমেটিক রাইফেল ছিল।
ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভাল মাঠে শনিবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় টেস্ট হওয়ার কথা রয়েছে। তবে তা মাঠে গড়াবে কিনা সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৯
এমকেএম