ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জমকালো আয়োজনে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এই আয়োজনটা ছিল মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সালে। কিন্তু হঠাৎ করে তখন করোনা ভাইরাস এমনভাবে দেখা দিল যে আমরা বাধ্য হয়ে সেটা স্থগিত করে এই বার আমরা আয়োজন করেছি। যদিও আবার নতুনভাবে করোনা দেখা দিয়েছে, তবে আমি এইটুকু চাইবো যে সকলে আপনাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টা বিশেষ ভাবে নজরে রেখে সমস্ত খেলাগুলো আপনারা আয়োজন করবেন।
খেলাধুলার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনো দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষকে উন্নতি করতে হলে সর্বদিকেই আসলে উন্নতি হওয়া দরকার। এবং খেলাধুলা এক্ষেত্রে একান্তভাবে অপরিহার্য। বিশেষ করে আমাদের ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে যুব তরুণ তাদের জন্য একান্তভাবে অপরিহার্য।
খেলাধুলার প্রতি পরিবারের সদস্যদের আগ্রহ ও সম্পৃক্ত থাকার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, খেলাধুলার প্রতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আন্তরিকতা ছিল, তিনি সব সময় উৎসাহিত করতেন। তিনি নিজে খেলতেন। আমার দাদাও খেলতেন, আমার বাবাও খেলতেন। আমার ভাইয়েরাও খেলতেন।
খেলাধুলার প্রসারে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে চেষ্টা করেছি আমাদের ছেলেমেয়েদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করতে। সব ধরনের খেলাধুলায় আমরা নজর দিয়েছি। এমনকি আমাদের দেশীয় যে খেলাগুলো সেগুলো আমরা বাদ দেইনি। এর একটাই লক্ষ্য আমাদের ছেলেমেয়েরা সব সময় এর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকুক।
খেলোয়াড়দের ভবিষ্যৎ অলিম্পিকের জন্য গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা নিজেদেরকে প্রস্তুত করবেন, আমরা যেন আগামীতে অলিম্পিক গেমস বিশ্বের যেখানেই হবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যেন সেখানেই অংশগ্রহণ করার মতো নিজেদেরকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারি এবং ভবিষ্যতে আমরা সেইভাবেই ..গেমস ঠিক করে নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক মানের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবো এবং সেইভাবেই আমরা তৈরি করতে চাই আমাদের খেলোয়াড়দের।
সকল অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আগাম শুভেচ্ছা থাকলো যে সফলভাবে আপনারা এটা সম্পন্ন করবেন। এবং প্রত্যেকেই যেন আপনাদের পারদর্শীতা দেখাতে পারেন। যেই কয়টা ডিসিপ্লিনে খেলা হবে প্রত্যেকটা খেলায় আপনারা আপনাদের পারদর্শীতা দেখাতে পারবেন।
বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস এর মশাল টুঙ্গিপাড়া থেকে প্রজ্বলন করায় বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এবং বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস এর মশালটা আপনারা প্রজ্বলিত করেছেন টুঙ্গিপাড়া থেকে, যে মাটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং যে মাটিতে তিনি ঘুমিয়ে আছেন।
দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে দেশের ২৯টি ভেন্যুতে ৫ হাজার ৩০০ অ্যাথলেট নিয়ে শুরু হচ্ছে এই বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস। আগামী ১০ এপ্রিল আসরের পর্দা নামবে।
উদ্বোধনী পর্বে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো.জাহিদ আহসান রাসেল,যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ি কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) সভাপতি সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা।
উদ্বোধনী পর্ব শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২১
এমইউএম/এমএইচএম