ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

‘আরও বেশি দায়িত্ব বেড়ে গেল’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৩ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২২
‘আরও বেশি দায়িত্ব বেড়ে গেল’

দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ (বুধবার) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রদান করা হলো জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। একই সঙ্গে আট বছরের ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।

২০১৩ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মোট ৮৫ জনকে জাতীয় পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ভুার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৯ সালের পুরস্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম। আর্চারির সংগঠক হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এই পুরস্কার পাওয়ার আর বেশি দায়িত্ব বেড়ে গেছে বলে মনে করেন এই সংগঠক।

বর্তমানে আর্চারিতে বেশ উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। প্রায় প্রতিটি আসরেই সফলতার মুখ দেখেতে পাচ্ছেন আর্চাররা। বর্তমান তরুনদের মাঝে এই খেলা নিয়ে রয়েছে বাড়তি আগ্রহ। মইনুল ইসলামের মতে শুধু আরচারি নয় মেধা ভিত্তিক আরও অনেক খেলা রয়েছে যেখানে বাংলাদেশের আরও অনেক উন্নতি করা সম্ভব। তিনি বলেন, ‘যে কোনও পুরস্কারই কাজের প্রতি বাড়তি প্রেরণা যোগায়।

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পুরাস্কার, কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আরও বাড়িয়ে দেয়। যেহেতু জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছি এবং এর পাশে রয়েছে আর্চারির নাম এখন এই খেলা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতি আমি দায়বদ্ধ। ’ শুধু আর্চারি নয় অনেক খেলা রয়েছে যেখানে বাংলাদেশের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন মাইনুল ইসলাম। স্কুল পর্যায় থেকে আরও বেশি খেলোয়াড় তৈরি করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

২০১৭ সালের পুরস্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন হ্যান্ডবলের সংগঠক আসাদুজ্জামান কোহিনুর। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) উপ মহাসচিব এবং হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক এই পুরস্কার পেয়ে উচ্ছ্বসিত। তবে পুরস্কার পাওয়াই তাঁর কাজের মূল লক্ষ্য নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

ক্রীড়াঙ্গনে অবদানের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। এই পুরস্কার সকলের জন্যই গর্বের। পুরস্কৃত হয়ে কোহিনুর বলেন, ‘পুরস্কার পেয়ে ভালো লাগছে। কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ এই পুরস্কার পেয়েছি। তবে আমি পুরস্কার পাওয়ার জন্য কাজ করি না। আমি দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে ভালোবাসি। ক্রীড়াঙ্গনের উন্নতির জন্যই কাজ করি। ’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি সব সময় দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে চেস্টা করেছি। আগামীতেও করবো। হ্যান্ডবলকে এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি চেস্টা করি যতটা সম্ভব সকলকে সহযোগিতা করার। আগামীতেও আমি ক্রীড়াঙ্গনের জন্যই কাজ করে যাবো। ’ 

এআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।