ব্রাজিলের ত্রেস কোরাকোয়েস শহরের এক বস্তিতে জন্ম নিয়েছিল এডসন অরান্তেস দো নাসিমেন্তো। এটা তার বাবা মা’র দেওয়া নাম।
আর এ গল্পটাই সিনেমার পর্দায় নতুন করে বলছেন পরিচালক মাইকেল ও জেফ জিম্বালিস্ট ভ্রাতৃদ্বয়। ছবিতে ১০ থেকে ১৩ বছর বয়সী পেলের চরিত্রে অভিনয় করছেন ব্রাজিলিয়ান কিশোর লিওনার্দো লিমা কারভালহো।
গত বছরের অক্টোবরের শুরুতে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে শুটিং শুরু হয়েছে এ ছবির। ছবিটি এ বছরই মুক্তি পাবার কথা রয়েছে। পেলের জীবনী নিয়ে এই প্রথম কোনো বাণিজ্যিক ছবি হলেও রুপালি পর্দার সঙ্গে পেলের যোগাযোগটা বেশ পুরোনো।
১৯৬৯ সালে ব্রাজিলিয়ান টেলিভিশনের ধারাবাহিক ওস এস্ত্রানহোতে প্রথম দেখা গিয়েছিল কালো মানিককে। হলিউডের ছবি এসকেপ টু ভিক্টোরিতে মাইকেল কেইন, সিলভেস্টার স্ট্যালোনদের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এক যুদ্ধবন্দীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সেগুলো ছিল ফুটবলার পেলের অভিনেতা হয়ে ওঠার চেষ্টা।
কিন্তু এবার তিনি নিজেই সিনেমার বিষয়। কেন পেলের জীবন নিয়ে ছবি? এ বিষয়ে পরিচালক মাইকেল জিম্বালিস্ট এএফপিকে বলেন, ‘জিনিয়াসদের বোঝার চেষ্টা করাটা আমার কাছে সব সময়ই রোমাঞ্চকর মনে হয়। পেলে সেই গল্প। ’
পেলে বড় ফুটবলার না ম্যারাডোনা? এই প্রশ্ন নিয়ে তর্ক কম হয়নি, এবং এখনও হচ্ছে নিয়মিত। ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যেই বেশি তর্ক দেখা যায় বিষয়টা নিয়ে। তবে এবার পেলের ভক্তরা ম্যারাডোনার ভক্তদের ঘায়েল করার জন্য নতুন রসদ পেয়ে গেলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৪