হলিউডি অ্যাকশন ছবির ছোঁয়া অনেক বছর আগেই লেগেছে বলিউডের শরীরে। আর এখন বলিউড চলচ্চিত্র মানেই অ্যাকশন থাকতেই হবে।
ধুম থ্রি
বক্স অফিসে সর্বমোট আয় ছিলো ২৮৪ কোটি রুপি। ২০১৩ সালের সবচেয়ে বড় অ্যাকশনধর্মী ছবি ছিলো ‘ধুম থ্রি’। জরিপ অনুযায়ী বলিউডের গর্ব করার মতো ছবি ছিলো এটি। জন আব্র্রাহাম, এশা গুপ্তা, অভিষেক বচ্চন ও উদয় চোপড়ার প্রথম কিস্তির চেয়ে হৃতিক রোশন ও ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চনের দ্বিতীয় কিস্তি বেশি সফল হয়েছিলো। কিন্তু তৃতীয় কিস্তিতে আমির খানের দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় সকল প্রশংসাকে দুরে ঠেলে এখন পর্যন্ত শীর্ষে অবস্থান করছে।
চেন্নাই এক্সপ্রেস
শাহরুখ-দীপিকা জুটির দ্বিতীয় সুপার ডুপার হিট ছবি ছিলো এই ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’। হাসি তামাশা, প্রেম ভালোবাসা, নাটকীয়তা, মাতানো গানের সুর ও ধুন্ধুমার মারপিটের ভরপুর প্যাকেজ ছিলো ছবিটি। ছবির পরিচালক ছিলেন রোহিত শেঠি আর তার ছবি মানেই অ্যাকশনধর্মী ছবি। তাই তো বক্স অফিসে ছবিটি আয় করেছিলো সর্বমোট ২২৭ কোটি রুপি।
ক্রিশ থ্রি
‘ক্রিশ থ্রি’ ছবিতে হৃতিক একজন সুপার হিরো। ছবিতে রাকেশ রোশেনের দক্ষ নির্মাণ শৈলি নতুন করে আরো একবার প্রশংসিত হয়েছিলো। তবে ছবির আয় নিয়ে একটা বিতর্ক রয়ে গেছে, রোশন পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী ছবিটি আয় করেছে ২৪৫ কোটি রুপি। কিন্তু বাণিজ্যিক পন্ডিতদের মতে ছবিটি আয় করেছে সর্বমোট ১৭৮ কোটি রুপি।
এক থা টাইগার
২০১২ সালের ঈদে মুক্তি পেয়েছিলো সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফের অন্যতম অ্যাকশনধর্মী ছবি ‘এক থা টাইগার’। সালমান-ক্যাটরিনার অসাধারণ অ্যাকশন ও চমৎকার রসায়ন মুগ্ধ করেছিলো সবাইকে। কবির খান পরিচালিত এই ছবিটির বক্স অফিস আয় ছিলো ১৯৯ কোটি রুপি।
দাবাং টু
‘দাবাং’ ছবির সাফল্যে আরবাজ খান একজন দক্ষ পরিচালক হিসেবে খ্যাতি পেয়েছিলেন। এজন্য ‘দাবাং টু’ ছিলো তার জন্য চরম পরীক্ষামূলক একটি ছবি। যে পরীক্ষায় পুরো নম্বর পেয়েছেন তিনি। ভাই সালমানের অসাধারণ অ্যাকশন ও যোগ্য পরিচালনায় ছবিটি বক্স অফিসে সর্বমোট ১৫৫ কোটি রুপি আয় করেছিলো।
রাওডি রাঠোর
অক্ষয়ের ছবি আর মারপিট থাকবেনা তাও কি সম্ভব? প্রভু দেবা পরিচালিত ‘রাওডি রাঠোর’ ছবিটি ছিলো একটি সফল অ্যাকশনধর্মী ছবি। বক্স অফিসে ১৩৩ কোটি রুপি আয় করে ছবিটি। শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে এ ছবির দ্বিতীয় কিস্তির কাজ।
অগ্নিপথ
জনপ্রিয় পরিচালক ও প্রযোজক করণ জোহরের অ্যাকশনধর্মী ছবিগুলোর মধ্যে ‘অগ্নিপথ’ ছিলো সবচেয়ে বেশি হিংস্র ধরণের গল্প। অমিতাভ বচ্চনের মূল ছবিটিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিলো এর সফলতা। হৃতিক রোশন, ঋষি কাপুর ও সঞ্জয় দত্তের ভয়ংকর অভিনয় ছিলো ছবির সাফল্যের পিছনের কারণ। ছবিটি বক্স অফিসে আয় করে ১১৫ কোটি রুপি।
গজনী
আমির খানের আরোও একটি অন্যতম অ্যাকশনধর্মী ছবি হচ্ছে ‘গজনী’। এ আর মুরুগাদোস পরিচালিত ‘গজনী’ ছবিটি ছিলো তারই তামিল ছবির রিমেক। কিন্তু তামিলের চেয়ে হিন্দিতে ছবিটি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো বেশি। ছবিতে পাশবিক শ্রেণীর মারপিটের দৃশ্য দেখে অবাক হয়েছিলো সকলেই। বক্স অফিসে আয় করেছিলো ১১৪ কোটি রুপি।
হলিডে
‘গজনী’ রিমেক দিয়ে সাফল্য পাবার পর এআর মুরুগাদোস তার অন্য তামিল ছবি ‘থুপাক্কি’র রিমেক করেন। হিন্দিতে ছবিটির নাম দেন ‘হলিডে’। মুরুগাদোসের পরিচালনায় আর অক্ষয়ের মশলাদার অ্যাকশনের মিশ্রনে ছবিটিও ধুন্দুমার হিট হয়। সবমিলিয়ে আয় করেছে ১১৫ কোটি রুপি।
শোলে
বলিউডের সর্বকালের রেকর্ড গড়া অ্যাকশন ধর্মী ছবির তালিকায় সর্বপ্রথম নাম আসে ‘শোলে’র। অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, সঞ্জীব কুমার, হেমা মালিনি ও জয়া বচ্চনের অসাধারণ অভিনয় আজও মানুষের মনে আঁচড় কাটে। ছবির অ্যাকশন ও ডায়ালগ এখনও মানুষের মুখস্থ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৪