ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তারার ফুল

সাতটি তারার মিমি

খায়রুল বাসার নির্ঝর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৪
সাতটি তারার মিমি আফসানা মিমি / ছবি : নূর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আফসানা মিমি যেন এখনও ঝলমলে কিশোরী! কতো দারুণভাবেই না হাসিখুশি রাখতে পারেন চারপাশ! ধানমন্ডিতে তাকে আবিষ্কার করা গেলো আকাশজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা তারাভরা রাতে। গালে হাত রেখে মনোযোগী ছাত্রীর মতো দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।

তবে শান্ত নন। এদিক-ওদিক যাচ্ছেন। চারপাশের আলো যেন বেড়ে যায় তার উচ্ছ¡ল হাসিতে।

নিজের নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘ডলস হাউস টু : সাতটি তারার তিমির’কে সামনে রেখে আবার আলোয় পাওয়া গেলো মিমিকে। সেই যে ‘পৌষ ফাগুনের পালা’ শেষ হলো, নাটক পরিচালনা থেকে দূরেই ছিলেন বলা যায়। তারপর ‘সাতটি তারার তিমির’ পর্যন্ত পৌঁছাতে বড্ড বেশি সময় নিয়ে ফেলেছেন।

সেটা অবশ্য ইচ্ছাকৃতও নয়। মিমি হাত দিয়েছেন আরও বড় মাধ্যমে। চলচ্চিত্রে। তার পরিচালিত প্রথম ছবি ‘রান’। এরই মধ্যে বেশকিছু অংশের দৃশ্যধারণ হয়েছে। বিভিন্ন কারণে এর কাজ থমকে আছে অনেকদিন ধরে। মিমি জানালেন, চলচ্চিত্র বড় ক্যানভাস। কিছু জটিলতা হয়েছিলো মাঝে। সেই ফাঁকে ‘ডলস হাউস টু’ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। ‘রান’ বন্ধ হয়নি। শুরু হবে আবারও।

মিমি যে সাতটি তারা নিয়ে আসছেন তারা সবাই কিশোরী, যুবতী। তাদের মাঝে কালো পোশাকের মিমি আরও অবুঝ কিশোরী যেন! চেহারায় বিন্দুমাত্র ক্লান্তির ছাপ নেই। এক সময়ের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ডলস হাউস’কে নতুন আঙ্গিকে দর্শকদের কাছে ফিরিয়ে আনা কম কঠিন নয়। সেই কঠিন কাজটিই করেছেন মিমি।

‘ডলস হাউস’ ফিরে এসেছে নতুনভাবে। ‘সাতটি তারার তিমির’ নামে। জয়িতা মহলানবীশ, শর্মিমালা, মৌটুসী বিশ্বাস, সানজিদা প্রীতি, স্বর্ণা, মৌসুমী হামিদ ও মুমতাহিনা টয়া- এই সাত তারা। একেকজন দুষ্টুর সর্দার। তাদেরকে একত্র করে, চরিত্রে ঢুকিয়ে, ক্যামেরার সামনে দাঁড় করানো কম কঠিন নয়! দৃশ্যধারণের বেলায় তাই দেখা দেয় মিমির দ্বৈতরূপ। একদিকে মমতাময়ী মা, অন্যদিকে অগ্নিরূপী শিক্ষিকা। এক হাতে শাসন করেন, অন্যহাতে প্রবল আদরে কাছে টেনে নেন। এ জন্যই তো তিনি আফসানা মিমি। এ প্রজন্মের অভিনেত্রীদের আদর্শ, নির্ভরতার জায়গা।

‘বন্ধন’, ‘গৃহগল্প’, ‘সাড়ে তিনতলা’, ‘কাছের মানুষ’, কিংবা ‘ডলস হাউস’- মিমির হাতে গড়া একেকটা জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক। ‘সাতটি তারার তিমির’ এসবকে অতিক্রম করতে পারবে আদৌ? মিমি বললেন, ‘গল্পটি একেবারেই সাম্প্রতিক জীবনধারার কথা বলবে। এখনকার বন্ধুত্বের ধরণ, পারিবারিক আবেগ-অনুভূতি তুলে আনার চেষ্টা করা হয়েছে এতে। ’

আগের ধারাবাহিকগুলোর মতো এটাও দর্শকের মন ছুঁয়ে যাবে, আশা করেন মিমি। তার সঙ্গে নতুন নাটকটি পরিচালনায় যোগ দিয়েছেন রাকেশ বসু।

পর্দায় মিমিকে দেখা না গেলেও, মিলবে তার হাতের ছোঁয়া। ‘সাতটি তারার তিমির’-এর প্রতিটি শট, ফ্রেম, সংলাপে মিশে আছে তার গভীর মমতা। ২৯ নভেম্বর থেকে এটি প্রচার হবে এটিএন বাংলায়। মিমি আবদার ভরা কণ্ঠে বলে রাখলেন, ‘ভুলে গেলে চলবে না কিন্তু!’

বাংলাদেশ সময় : ২০১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ