ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তারার ফুল

প্রিয়ন্তি পরীর সঙ্গে কিছুক্ষণ

‘অভিনয় দেখে কিন্তু নতুন মনে হয় না’

সোমেশ্বর অলি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৫
‘অভিনয় দেখে কিন্তু নতুন মনে হয় না’ প্রিয়ন্তি পরী

‘চুপি চুপি পেম’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশিত হলো নতুন মুখ। গত সপ্তাহে মুক্তি পাওয়া ছবিটির নায়িকা প্রিয়ন্তি পরী।

সুন্দরী প্রতিযোগিতা থেকে উঠে সরাসরি বড়পর্দায় এসেছেন তিনি। কেমন হলো তার প্রথম কাজ? সাড়া পাচ্ছেন কেমন? আর চলচ্চিত্র নিয়ে কী ভাবছেন প্রিয়ন্তি? পড়ুন তার সাক্ষাৎকার-

বাংলানিউজ: ‘চুপি চুপি প্রেম’ ছবির কাজ শুরুর আগে আগে আপনার নাম প্রিয়াঙ্কা পরী ছিলো। এখন প্রিয়াঙ্কা কোথায় গেলো?
প্রিয়ন্তি পরী: মোস্তাফিজুর রহমান মানিক ভাইয়ের হাত ধরে আমি সিনেমায় এসেছি। তার পরামর্শেই নামের প্রথম অংশ পাল্টেছি। তখন প্রিয়াঙ্কা নামে একজন নায়িকা ছিলেন। এ কারণেই নামটি বাদ দেওয়া।

বাংলানিউজ: এখন তো পরী (মনি) নামেও একজন আছেন। নাম নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়তে হচ্ছে?
প্রিয়ন্তি: পরীমনি এখন বেশ আলোচিত। তখন তার নাম জানতাম না। তবে নাম নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়তে হচ্ছে না। কারণ পরীমনি পরী নামে আর আমি প্রিয়ন্তি নামে পরিচিত।

বাংলানিউজ: আপনি সুন্দরী প্রতিযোগিতা থেকে এসেছেন। নাটকও তো করেননি। ছবির জন্য প্রস্তুতি কেমন ছিলো?
প্রিয়ন্তি: ২০১২ সালে ‘ভিট-চ্যানেল আই টপ মডেল’ প্রতিযোগিতায় আমি সেরা দশে ছিলাম। ছোটবেলা থেকে নাচের প্রতি আগ্রহ ছিলো। নাচ শিখেছি। সিনেমায় অভিনয় করবো বলেই কোনো নাটকে অভিনয় করা হয়নি। প্রস্তুতি বলতে তেমন কিছু নেই। নাচ জানার সুবাদে অভিনয়ের কিছু ব্যাপার আমার মধ্যে ছিলো। আর ‘চুপি চুপি প্রেম’-এর দৃশ্যধারণ শুরুর আগে আমাকে গ্রুমিং করানো হয়েছিলো। এটাও কাজে লেগেছে।

বাংলানিউজ: নায়িকা হতে চেয়েছেন কেন?
প্রিয়ন্তি: আমার মা ও পরিবারের চাওয়াতেই আমি সিনেমার নায়িকা হয়েছি। তাদের চাওয়ার সঙ্গে আমার চাওয়াও মিলে গেছে। প্রথম ছবি মুক্তির পর থেকে মনে হচ্ছে, এটাই আমার গন্তব্য। আমি সারাজীবন অভিনয়টাই করতে চাই, সঙ্গে নাচ। নাচ নিয়েও বিস্তর পরিকল্পনা আছে। সুযোগ হলেই একটা নাচের স্কুল খুলবো।  

বাংলানিউজ: অভিষেক ছবিটি কী আপনার মনের মতো হয়েছে বলে মনে করেন?
প্রিয়ন্তি: আমি মনে করি, খুব পরিচ্ছন্ন একটি ছবির মাধ্যমে আমার যাত্রা শুরু হলো। এটা সম্ভব হয়েছে মানিক ভাইয়ের জন্য। দর্শক ছবিটি দেখছেন, হাসছেন, কাঁদছেন- এগুলোই তো প্রাপ্তি। আর কী চাই! এক কথায় বললে, প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পেয়েছি।

বাংলানিউজ: ‘চুপি চুপি প্রেম’ নিয়ে এখন পর্যন্ত পাওয়া সেরা মন্তব্য কোনটি?
প্রিয়ন্তি: ছবিটি মুক্তির পর ঢাকার বিভিন্ন হলে গিয়ে দেখেছি। কখনও দলবল নিয়ে, কখনও একা। দর্শকদের অভিব্যক্তি আর উচ্ছ্বাস সামেনে থেকে দেখেছি। দর্শকদের কিছু মন্তব্যও শুনেছি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আমার কান্নার দৃশ্যের প্রশংসা করেছেন। তারা এমনও বলেছেন যে, ‘মেয়েটা নতুন। অভিনয় দেখে কিন্তু নতুন মনে হয় না…’। এটা আমার কাছে আশীর্বাদের মতো।

বাংলানিউজ: চলচ্চিত্রে আপনার প্রিয় নায়ক-নায়িকা কে কে?
প্রিয়ন্তি: অনেকেই জানেন, আমার আইডল শাবনূর। আমি তার ভক্ত। মাহিয়া মাহিকে দেখতে বেশ ভালো লাগে। আর নায়কদের মধ্যে নাম্বার ওয়ান শাকিব খান, বাপ্পিকে পছন্দ করি। ভবিষ্যতে তাদের সঙ্গে অভিনয় করতে পারলে ভালো লাগবে। আর সাইমনের কথা কী বলবো। প্রথম ছবিতেই তাকে সহশিল্পী হিসেবে পাওয়াটা আনন্দের ব্যাপার।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৫
এসও/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ