ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তারার ফুল

মহেশ ভাটের সঙ্গে কিছুক্ষণ

দুঃসময়েও সুন্দরের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখেন শিল্পীরা

ভাস্কর সরদার, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
দুঃসময়েও সুন্দরের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখেন শিল্পীরা

কলকাতা: ওডিয়ম ফেস্টিভ্যাল উপলক্ষে কলকাতায় এসেছিলেন মুম্বাইয়ের খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার মহেশ ভাট। তার চূড়ান্ত ব্যস্ত সময়ের মধ্যে বাংলানিউজকে সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হন এই বলিষ্ঠ নির্মাতা।

একাধিক জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই পরিচালকের সাক্ষাৎকার পাওয়ার প্রক্রিয়া চলছিলো প্রায় এক মাস ধরে। তারপরেও ছিলো দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর।

যেহেতু নাটকের জন্য কলকাতায় আসা, তাই সিনেমার প্রশ্নের উত্তর দেবেন না বলে জানিয়ে রেখেছিলেন মহেশ ভাট। কথা বলতে বলতে উঠে এলো নানা প্রসঙ্গ। রাজনীতি থেকে সমাজ, প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক থেকে সন্ত্রাসবাদ- উঠে এলো কলকাতা ও বাঙালিদের নিয়ে তার ভালোবাসার কথা। ১৯৭৪ সালে পরিচালনা শুরু করা এই পরিচালক মোট ৭৮টি চলচ্চিত্র বানিয়েছেন। কিন্তু এই প্রথম অভিনয় করলেন। তা-ও নাটকে।
Mahesh_Bhatt_01
বাংলানিউজ : আপনি নাটককে ঠিক কীভাবে দেখেন?
মহেশ ভাট : নাটক সাধারণ মানুষের একটি হাতিয়ার। নাটকের মঞ্চে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষ তার কথা গোটা পৃথিবীর কাছে খুব জোরালোভাবে তুলে ধরতে পারে।

বাংলানিউজ : আপনি সিনেমার মানুষ, আপনার প্রথম নাটক ‘দ্য লাস্ট স্যালুট’-এ জোরের সঙ্গে বলা হয়েছে, ইরাক যুদ্ধ বর্তমান বিশ্বে উগ্রপন্থার জন্য দায়ী। কিন্তু আপনার কি মনে হয় না এর পেছনে আছে ক্যাপিটালিজম?
মহেশ ভাট : আমরা নাটকে কোন নীতি বা দর্শনের প্রচার করছি না। আমার মানুষের কথা বলছি। যে ঘটনা ঘটেছে, তার কথা মানুষের কাছে তুলে ধরতে চাইছি। একটা কথা মাথায় রাখতে হবে- কবে সব সমস্যার সমাধান হবে, তারপর প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান হবে, এটা ভেবে বসে থাকলে চলবে না। একমাত্র শিল্পীরা পারে দুঃসময়েও সুন্দরের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে। সেই কাজটা চলিয়ে যেতে হবে।
 
বাংলানিউজ : বাংলা সাংস্কৃতি নিয়ে আপনার ধারণা কী?
মহেশ ভাট : নতুন করে কিছু বলার নেই। একটা কথাই বলতে পারি, আমি বাংলা সংস্কৃতিতে অনুপ্রাণিত।
 
বাংলানিউজ : বিশ্বে থিয়েটার নিয়ে অনেক ধরনের কাজ হচ্ছে। প্রথম বিশ্বের দেশগুলোতে একজন থিয়েটার কর্মী থিয়েটার করে তার জীবন নির্বাহ করতে পারে। উপমহাদেশে এই অবস্থাটা কেমন?
মহেশ ভাট : এখানে থিয়েটারের মার্কেটিং নিয়ে ভাবার যথেষ্ট অবকাশ আছে। সরকার এবং প্রশাসনকেও প্রাথমিক অবস্থায় এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই থিয়েটার আগামী দিনে তার সত্ত্বা বজায় রেখে স্বাবলম্বী হতে পারবে।
Mahesh_Bhatt_02
বাংলানিউজ : সমসাময়িক সামাজের ক্ষেত্রে থিয়েটারের অবদান কতোটা?
মহেশ ভাট : অনেকটাই। এতো মানুষকে সমস্ত বিভেদ ভুলিয়ে এক জায়গায় নিয়ে আসতে পারাই থিয়েটারের সবচেয়ে বড় অবদান।

বাংলানিউজ : ইদানীংকালে ভারতে ‘ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা’ নিয়ে ভীষণ আলোচনা হচ্ছে, আপনার অভিমত কী?
মহেশ ভাট : গোটা মানব প্রজাতি তার সহিষ্ণুতা হারাচ্ছে। আমারা একটি ধৈর্যহীন প্রজাতিতে পরিণত হচ্ছি।

বাংলানিউজ : আপনার কি মনে হয় ভারতে শিল্পীদের স্বাধীনতা কোথাও খর্ব হচ্ছে?
মহেশ ভাট : না, আমার একেবারেই এই কথা মনে হয় না। ভারতে শিল্পীদের স্বাধীনতা বজায় আছে।

বাংলানিউজ : যখন ভারতের একটি প্রান্তে পাকিস্তানের গজল গায়ক গুলাম আলি অনুষ্ঠান করতে পারলেন না, তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তাকে কলকাতায় আমন্ত্রণ করে অনুষ্ঠান করতে দিলেন। এ প্রসঙ্গে আপনি কী বলবেন?
মহেশ ভাট : পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ।

বাংলানিউজ : আমাদের সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
মহেশ ভাট : নমস্কার।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
ভি.এস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ