বরং বলা যায় একটু বেশিমাত্রাতেই।
কিন্তু গল্পের বুননই যেখানে সঠিক নয়, সেখানে রহস্যের পর্দা ফাঁসেও কোনও চমক দেখা গেলো না।
‘রেস থ্রি’র গল্পে অনিল কাপুর ওরফে শমশের সিং অস্ত্রের ব্যবসায়ী। যিনি এলাহাবাদ থেকে আলসিফায় এসে অস্ত্রের বিরাট ব্যবসা ফেঁদেছেন। যার দুই ছেলে-মেয়ে সাঞ্জানা (ডেইজি শাহ) এবং সুরজ (শাকিব সেলিম) কম বুদ্ধিমান হলেও যে কোনও কাজে দারুণ পারদর্শী। তবে বাবার সৎ ছেলে অর্থাৎ সিকান্দারকে (সালমান খান) একেবারেই সহ্য করতে পারে না তারা। তাতে অবশ্য বড় মনের সিকান্দার কিছু মনে করে না। বরং ভাই-বোনের সঙ্গে মিলেমিশেই থাকতে ভালোবাসেন তিনি।
সিকান্দারের হয়ে কাজ করে যশ ওরফে ববি দেওল। যাকে হাতিয়ার করে সিকান্দারকেই ‘রেস’ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র ফাঁদ পাতে সাঞ্জানা ও সুরজ। যে পরিকল্পনায় শামিল হয় জেসিকা (জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ)। কিন্তু মাস্টারমাইন্ড সিকান্দারের ছক ধরতেই পারেননি শমশেরের ছেলে ও মেয়ে। এইভাবে এগিয়ে যেতে থাকে ‘রেস থ্রি’র গল্প।
কিন্তু ‘রেস থ্রি’-র নৃত্যশিল্পী-পরিচালক রেমো ডিসুজার মাথায় রাখা উচিৎ ছিল, ছবির নামের কপিরাইট পেলেই পরিচালককে ছোঁয়া যায় না। কেননা পরিচালকের হটসিটে বসেই ‘রেস থ্রি’ নিয়ে সিনেমাপ্রেমীদের উত্তেজনায় জল ঢেলে দিয়েছেন তিনি। খোদ সালমান খানও তাই এ ছবিকে রক্ষা করতে পারছেন বলে চলচ্চিত্র বিশ্লেষকদের দাবি।
সালমান খানের ছবি যেখানে এক দিনে অর্ধশত কোটি থেকে শত কোটি রুপির ব্যবসা করে সেখানে ‘রেস থ্রি’ আয় করলো মাত্র ৩০ কোটি রুপি!
২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘টিউবলাইট’-এর হতাশা কেটেছিল ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’-র দুর্দান্ত সাফল্যে। কিন্তু ‘রেস থ্রি’র ব্যর্থতা ফের মন ভাঙল সালমান ভক্তদের। এ ছবি বক্স অফিসে সালমানের রেকর্ড বজায় রাখবে কিনা এখনও জানা নেই। তবে রেমো ডি’সুজাকে এ সিরিজে আর চান না সিনেমাপ্রেমীরা। তাই এদিক থেকে জয়ী হয়ে গেলো আগের দুই কিস্তি ‘রেস’ ও ‘রেস টু’র পরিচালক ও আব্বাস-মাস্তান জুটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৮
বিএসকে