বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। টেনিস ফেডারেশনের এমন বেহাল অবস্থার জন্য দায়ী কে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এ দ্বায় ফেডারেশনের।
১০ বছর পর নতুন আরেকটি আহবায়ক কমিটি দেয়া হয়েছে। ২৭ জনের কমিটিতে খেলোয়াড় ব্যাকগ্রাউন্ড নেই সিংহভাগ কর্মকর্তার। এটিকেও একটি কারণ মনে করছেন তিনি, অনূর্ধ্ব ১২-১৪-১৬ খেলোয়াড়দের ঘাটতির পেছনে আহবায়ক কমিটিও দায়ী। সেজন্য কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছে না টেনিস। খেলোয়াড় পাচ্ছে না। যারা টেনিসকে কনট্রিবিউট করতে পারবে তারা কমিটিতে আসতে পারে না। ’
খেলোয়াড় না আসার পেছনে খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন না হওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন সেন্টু, ‘টেনিস দিয়েই যে খেলোয়াড় তাদের পেশা বানাবে তেমন পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে না। খেলোয়াড়দের ভবিষ্যত নেই। তাই অনেককেই খেলার পাশাপাশি চাকরি করতে হয়। টেনিসকে পেশা হিসেবে নিচ্ছে না। এর দ্বায়ভার নিতে হবে ফেডারেশনকেই। খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন করে আর্থিক সুবিধা দিয়ে উপযোগী পরিবেশ গড়ার দায়িত্ব ফেডারেশনের। ’
খেলোয়াড় না থাকলেও শাহবাগস্থ টেনিস ফেডারেশনের আটটি ভেন্যুকে আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তুলতে ১০ কোটি টাকার বিশাল প্রস্তাবনা পাশ হয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে। এ বিষয়ে সেন্টু জানান, 'শাহবাগের এই ভেন্যুতে আন্তর্জাতিক অনেক টুর্নামেন্টের আয়োজন হয়। আন্তর্জাতিক মানের ভেন্যু করতে ১০ কোটি টাকার বাজেট পাশ হয়েছে। এপ্রিলের দিকেই উন্নয়ন কাজ শুরু করার পরিকল্পনা আছে। '
কয়েক মাস আগে উদীয়মান খেলোয়াড় বের করতে ২৮টি জেলায় 'ট্যালেন্ট হান্ট' করে ফেডারেশন। এখান থেকে প্রায় ৫০ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী টেনিস খেলোয়াড় বাছাই করার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। তবে এদের নিয়ে কবে, কি করা হবে তার কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনাও হাতে নেই ফেডারেশনের।
শিক্ষানবিশদের মধ্যে টেনিস পরিচিতি বাড়াতে আরেকটি উদ্যোগ হাতে নিয়েছে টেনিস ফেডারেশন। মিরপুর ডি.ও.এইচ.এস এর সরোবর পার্ক-১ কিডট টেনিস প্রশিক্ষণ কর্মশালার কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে তারা। এ ব্যাপারে সেন্টু বলেন, ‘দেশে টেনিসের প্রচার, প্রসার ও উন্নয়নের জন্য প্রথমবারের মতো এলাকাভিত্তিক টেনিস প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে। এ কর্মসূচি ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ হতে ১ মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
জেএইচ/এমআরএম