ঢাকা: পর্যটন খাতের উন্নয়নে আসন্ন বাজেটে ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে সম্মিলত পর্যটন জোট।
শনিবার (১৩ মে) পর্যটনবান্ধব জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে জোটের পক্ষ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক এমজিআর নাসির মজুমদারের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাবেক বিচারপতি ড. মো. আবু তারিক, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির, ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ট্রিয়াব) সভাপতি খবির উদ্দিন আহমেদ, প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেলস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (পাটা) সেক্রেটারি তৌফিক রহমান, ওয়ার্ল্ড ট্রাভেলার্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট তৌহিদা সুলতানা রুনু প্রমুখ।
গোলটেবিল বৈঠকে দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা ও করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় পর্যটন খাতের উন্নয়নে সম্মিলত পর্যটন জোটের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
দাবিগুলো হলো- অপ্রদর্শিত অর্থ পর্যটন খাতে অবাধ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া; নতুন নতুন অবকাঠামো নির্মাণ, উপকূলীয় পর্যটন এলাকার উন্নয়ন ও দুর্যোগে প্রান্তিক জনপদের পর্যটন ব্যবসায়ীদের রক্ষায় কল্যাণ তহবিল গঠনসহ পর্যটন খাতের উন্নয়নে কমপক্ষে ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া; পর্যটন শিল্পের জন্য শুল্কমুক্ত আমদানির সুযোগ দেওয়া; পর্যটন রপ্তানিতে কমপক্ষে ১০ শতাংশ ইনসেন্টিভ দেওয়া; পর্যটনের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে ভ্যাট-ট্যাক্স পুনঃ নির্ধারণ করা; বিদেশি পর্যটকদের জন্য ট্যুরিজম জোন ও আন্তর্জাতিক মানের সুবিধাদি দেওয়া; বিনিয়োগে নিরাপত্তা প্রদানে আপদকালীন গঠন ও তার প্রাপ্তি স্বত্ব সহজতর করা; পর্যটন সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ও অন্যান্য সুবিধার জন্য বরাদ্দ দেওয়া; পৃথক পর্যটন মন্ত্রণালয় গঠন করা; কমিউনিটি ভিত্তিক পর্যটনকে উৎসাহিত করতে বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া।
গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক বিচারপতি মো. আবু তারিক বলেন, দেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে সরকার বাজেট বরাদ্দ ও আলোচনা করলেও পর্যটন খাতের বাজেট নিয়ে আলোচনা হয় না। কিন্তু এই খাতের উন্নয়ন মানে দেশের উন্নয়ন। তাই এই খাতের উন্নয়নে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রয়োজন। বিশেষ করে পর্যটন কর্পোরেশন ও সিভিল অ্যাভিয়েশনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। যেন এ খাত স্বাবলম্বী হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
এসসি/এসএ