খাগড়াছড়ি: গেল ঈদের বন্ধে পাহাড়ে আশানুরূপ পর্যটক আসেনি। তাই এই ঈদ ঘিরে ভালো ব্যবসার আশায় ছিলেন ব্যবসায়ীরা।
গত কয়েকমাস ধরে তীব্র তাপদাহ এবং পাহাড়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে কারণ হিসেবে দেখছেন তারা। এছাড়া ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে বন্ধের দিনেও মানুষকে ঘর বন্দি করে রেখেছে।
খাগড়াছড়ির আলুটিলা রহস্যময় সুড়ঙ্গ, জেলা পরিষদের ঝুলন্ত সেতু, রিছাং ঝর্ণা, তৈদু ঝর্ণাসহ কয়েকটি নান্দনিক ঝর্ণাও দেখার মতো। তবে সব সবকিছুকে ছাপিয়ে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হলো রাঙ্গামাটি জেলার সাজেক উপত্যকা। এই ঈদেও সেসব স্পটে হাজারো পর্যটকের ভিড় হবে বলে আশা করা হয়েছিল। তবে তা এখনোও চোখে পড়ার মত নয়। জেলা পরিষদ পার্ক ও আলুটিলার পর্যটক স্পটগুলোতে মূলত: স্থানীয় পর্যটকরাই কিছুটা মুখর করে রেখেছেন। জেলার বাইরের পর্যটক দেখা গেছে হাতেগোনা।
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের তত্বাবধায়ক পীযুষ ত্রিপুরা বলেন, ঈদের দিন বিকেলে স্থানীয় দর্শনার্থীরা পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। কিন্তু আজকে সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় পর্যটন কেন্দ্র ফাঁকা। বাইরে থেকেও তেমন পর্যটক আসেনি। আগে যেখানে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার পর্যটক হতো, সেখানে এখন স্থানীয় দর্শনার্থীসহ কেবলমাত্র ৩০০ থেকে ৪০০ জন হচ্ছে।
বর্তমান সময়ের দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালি। যেতে হয় খাগড়াছড়ি হয়ে। সাজেকের আকর্ষণে পর্যটকরা ছুটে আসতেন। তবে এবার বিশেষ ছাড় দিয়েও পর্যটক টানতে পারছেনা কটেজ ও রিসোর্টগুলো। সাজেকের হোটেল রিসোর্টগুলো অনেকটা ফাঁকা। স্থানীয় রিসোর্ট মালিকরা বলছেন মন্দাভাব না কাটায় লোকসান গুনতে হবে তাদের।
সাজেক কাউন্টারের তত্বাবধায়ক মো.আরিফ বলেন, রোজার ঈদের মত এবারও খাগড়াছড়িতে পর্যটক আসেনি। আজকে (শুক্রবার) সাজেকের উদ্দেশ্যে সব মিলিয়ে গাড়ি গেছে ৫০টির মত। অথচ ঈদের এমন মৌসুমে পিকআপ, জীপ, সিএনজিসহ অন্যান্য যানবাহন মিলে প্রায় ৫০০ গাড়ির সাজেক যায়।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি চাইথোঅং চৌধুরী বলেন, ঈদের মৌসুমে যেখানে প্রায় তিন হাজারের মত পর্যটক সমাগম ঘটে। এবারও তার অর্ধেকেরও কম হয়েছে। গত ঈদে পর্যটকদের সংখ্যা কম ছিল। এবারের ঈদ নিয়ে আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু এবারও প্রত্যাশিত ব্যবসা করতে পারিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৩ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২৩
এডি/এসআইএ