খুলনা: টানা তিন মাস বন্ধের পর পর্যটক, বনজীবী ও মৎস্যজীবীদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্যারাবন সুন্দরবন।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে উঠে যাবে সুন্দরবনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা।
সুন্দরী ইকো রিসোর্টের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পর্যটকদের পদচারণায় তিন মাসের নীরবতা ভাঙতে চলেছে সুন্দরবনের। পর্যটকদের বরণে সব আয়োজন শেষ করেছি আমরা। রিসোর্টে বসে সুন্দরবনের পাক-পাখালির ডাক, পায়ে হেঁটে সুন্দরবনের অপার সৌন্দর্য উপভোগ। নিরাপত্তার সঙ্গে নিশিযাপন। মানসম্মত খাবার গ্রহণ। আধুনিক সব সুযোগ সুবিধার ডালি সাজিয়ে আমরা অপেক্ষায় আছি পর্যটকদের।
পশ্চিম সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. মো. আবু নাসের মোহসিন হেসেন বাংলানিউজকে বলেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে জেলে ও পর্যটকদের জন্য পারমিট দেওয়া শুরু হবে। এজন্য নির্ধারিত স্টেশনগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলে ও পর্যটকরা ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন।
ডিএফও বলেন, পর্যটকরা বনে যাওয়ার সময় প্লাস্টিকের পানির বোতল, একবার ব্যবহার হয় এমন প্লাস্টিকের খাবার প্লেট, সফট ড্রিংকসের বোতল ও ক্যান নিয়ে না যান৷ প্লাস্টিক বন্ধে এবার কঠোর অবস্থানে সুন্দরবন বন বিভাগ। বনের অভ্যন্তরে পানি ও স্থলভাগে যাতে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক, পলিথিন ও অপচনশীল দ্রব্য ফেলতে না পারে সেজন্য সুন্দরবনে দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি কেউ প্লাস্টিকের এসব সামগ্রী বনের মধ্যে নিয়ে যান তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। করা হবে জরিমানা।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মাছ ও বন্যপ্রাণীর বংশবৃদ্ধি, বিচরণ এবং প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় জুন-জুলাই-আগস্ট এই তিন মাস বনের নদী-খালে মাছ শিকার আহরণে বনবিভাগের নিষেধাজ্ঞা ছিল। শুধু মাছ শিকারই বন্ধ নয়, নির্দিষ্ট এ সময়-জুড়ে বনের অভ্যন্তরে ও অভয়ারণ্যে পর্যটকদের প্রবেশও ছিল বন্ধ। সুন্দরবনে মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছর তিন মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
এমআরএম/এসআইএস