কক্সবাজারের শিক্ষাবিদ এম এম সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, পর্যটনকে উন্নত করতে হলে বেসরকারি খাতকে শক্তিশালী করতে হবে। এ জন্য বেসরকারি উদ্যোগে শিশুপার্ক, আবাসন ব্যবসার জন্য সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে।
পর্যটনকে কেন্দ্র করে যে কটা ব্যবসা আছে কক্সবাজারে, সেসব ব্যবসাকে উন্নত করার জন্য সরকারি বিধি-নিষেধ কমিয়ে বেসরকারি খাতকে সুযোগ দিতে হবে। বেসরকারি খাত উন্নত না করলে শুধু সরকারি মাধ্যমে এ খাতকে সমৃদ্ধ করা যাবে না।
এম এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, পর্যটন ব্যবসায় বেসরকারি খাতের সংশ্লিষ্টরাই বেশি ভূমিকা রাখে। কক্সবাজারকেও সে উদ্যোগ সফল করতে হলে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। তাহলে পর্যটনবান্ধব পরিবেশ কক্সবাজারে তৈরি হবে। এর মাধ্যমে কক্সবাজারবাসী যেমন লাভবান হবে তেমনি দেশও তেমন লাভবান হবে।
তিনি বলেন, ১৩৫ বছর পর কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে রেলওয়ে এসেছে। এটা সারা বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয়। কক্সবাজার হচ্ছে দেশের একমাত্র বিশেষায়িত পর্যটন কেন্দ্র। পৃথিবীতে এত দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত কোথাও নেই। কক্সবাজারে রেল আসার কারণে পর্যটনের বিশাল সুযোগ তৈরি হয়েছে। সারা পৃথিবীর পর্যটকরা কক্সবাজার আসবে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করা হয়েছে যার মাধ্যমে আরও সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিদেশিরা সরাসরি কক্সবাজারে আসবে। এখানে ৫০০-এর বেশি বিভিন্ন মানের হোটেল আছে। থ্রিস্টার, ফাইভস্টার মানের অনেক হোটেল আছে, পর্যটকরা সুন্দরভাবে থাকতে পারবে। কিন্তু পর্যটনের বিনোদনের জন্য এখনো ভালো কিছু গড়ে ওঠেনি। আমরা আশা করব, সরকার পর্যটকের বিনোদনের জন্য বিস্তৃত সুযোগ-সুবিধা তৈরি করবে। মেরিন ড্রাইভ এখনো উন্নত মানের ও তিন লাইনের হয়নি। সেই মেরিন ড্রাইভকে প্রশস্ত করতে হবে। দরিয়া নগরীর পাশে আরেকটা বাইপাস রোড করা প্রয়োজন। বাইপাস এক রোড থেকে অন্য রোডে যেতে ক্রসরোড করা প্রয়োজন। যাতে পর্যটকরা দ্রুত আসা যাওয়া করতে পারে। কক্সবাজারের পর্যটনের আয় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে। ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে অসংখ্য আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নামে। বালি দ্বীপ ইন্দোনেশিয়ার বড় অর্থনৈতিক ভূমিকা রাখছে। কক্সবাজারকে যদি বালির মতো বিনোদনের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে এই কক্সবাজারও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২৩
এসআইএস