ঢাকা: রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা। নগরবাসী পরিবার ও বাচ্চাদের নিয়ে বিনোদন খুঁজতে প্রতি বছর এখানে আসেন।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই দর্শনার্থীরা আসতে থাকেন। বিকেলে বাড়ে সেই সংখ্যা। আগত দর্শনার্থীদের অধিকাংশই শিশু-কিশোর, যারা অভিভাবকদের সঙ্গে এসেছে। চিড়িয়াখানায় অবস্থিত বিভিন্ন পশুর খাঁচার সামনে এসে তারা ভিড় করছে। তারা কৌতূহলী মন নিয়ে অভিভাবকদের কাছে পশু-পাখির নাম জানতে চাচ্ছে। অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের আগ্রহ নিয়ে বিভিন্ন পশুর খাঁচার সামনে নিয়ে যাচ্ছেন।
বাড্ডা থেকে আসা মো. আরাফাত বলেন, চিড়িয়াখানায় বাচ্চাদের জন্য আসা। তাদের দাবি ছিল, ঈদে চিড়িয়াখানায় আসবে। এছাড়া আমার আত্নীয় এসেছেন, তারা এরআগে চিড়িয়াখানায় আসেনি। তাই সবাইকে নিয়ে এখানে এসেছি।
আশুলিয়া থেকে আসা ইমরান হোসেন বলেন, চিড়িয়াখানায় শিশুদের সুযোগ করে নিয়ে আসা উচিত। এতে তারা বইয়ে যা দেখছে, তা সামনাসামনি দেখার সুযোগ পাচ্ছে। এতে প্রাণীদের নিয়ে তাদের ধারণাও পরিষ্কার হচ্ছে।
চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, দর্শনার্থীদের জন্য নতুন কোনো প্রাণী আনা হয়নি। তবে এখানে জন্ম নেওয়া তিন বাঘ শাবকে এতদিন আমরা প্রশিক্ষণের মধ্যে রেখেছিলাম। এবার ঈদে সেই তিনটি বাঘের বাচ্চাকে দর্শনার্থীদের সামনে এনেছি। এছাড়া আমাদের চিড়িয়াখানায় ১৩৭ প্রজাতির তিন হাজার ২০০টির মতো প্রাণী আছে।
তিনি বলেন, সাধারণত ঈদের প্রথম দিন দর্শনার্থী কম থাকে। তবে এ বছর চিত্র ভিন্ন। বিকেল তিনটা পর্যন্ত খবর পেয়েছি প্রায় লাখের ওপর দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করেছে৷ এখনও আরও ঘণ্টা দুই বাকি। গত বছরে ঈদের প্রথম দিন দর্শনার্থী এসেছিল ৭০ হাজারের মত। দ্বিতীয় দিনে দর্শনার্থী ছিল দুই লাখ। এ বছর প্রথম দিনই প্রায় দেড় লাখ হবে বলে আশা করছি। ঈদের দ্বিতীয় দিনে আরও বেশি হবার সম্ভাবনা আছে।
জাতীয় চিড়িয়াখানায় রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ। এছাড়া অন্যদিনে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৪
এমএমআই/এসআইএ