জেনেভা (সুইজারল্যান্ড) থেকে: ইউরোপের আল্পস পর্বতমালা, প্রশস্ত হ্রদ আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ সুইজারল্যান্ড।
দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জেনেভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত রেলস্টেশনের চার নম্বর প্লাটফর্ম।
এখানেই ফাস্টফুডের দোকান পরিচালনা করেন রাজধানী ঢাকার উত্তরার মেয়ে মিলি।
উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে এখন সুইজারল্যান্ড প্রবাসী শাহাদাত হোসেনের ঘরনী। প্রবাসে টিকে থাকার লড়াইয়ে স্বামী-স্ত্রী দু’জনকেই কাজ করতে হয় এখানে।
জেনেভার ব্যস্ত এ রেলস্টেশনে প্রতি মুহূর্তেই সাপের মতো প্রায় নিঃশব্দে চলাচল করে ট্রেন। প্লাটফর্মে ট্রেন আসা আর যাওয়ার সময়টা ঘিরেই ভুবন ভোলানো হাসি দিয়ে ক্রেতাদের নিজের কাছে টেনে আনেন মিলি। ফরাসি ভাষায় কুশল জিজ্ঞাসা করে হাতে তুলে দেন চা, কফি বা কাঙ্ক্ষিত খাবারটি।
তবে স্বদেশের মানুষ দেখলেই আনন্দে আত্মহারা হন এ নারী। পরম অতিথি ভেবেই কি দিয়ে আপ্যায়ন করাবেন তাই নিয়েই ব্যস্ত হয়ে যান তিনি।
মিমি মমতাজ বাংলানিউজকে জানান, এক ভাই তিন বোনের মধ্যে আরেক যমজ বোন আছে। নাম লিলি। সেও থাকে প্রবাসে। সুইজারল্যান্ডে প্রায় এক যুগের প্রবাস জীবনে বেশ অভ্যস্ত এখানকার মানুষদের সঙ্গে চাল চলনে। সঙ্গে বাংলাদেশের চিরায়ত আতিথেয়তা জুড়ে দিয়ে মিলি হয়েছেন অনন্য।
সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশ কমিউনিটির সভাপতি আমজাদ চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, মিলির আন্তরিকতা আর শ্রদ্ধা ভুলিয়ে দেয় প্রবাসে থাকার কষ্ট। আসলে মিলিরা মিলেই তো এগিয়ে নিচ্ছে এ দেশকে। পাশাপাশি বাংলাদেশকে।
আর মিলিদের নিয়েই প্রবাসে আমার বিশাল এ পরিবার।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৬
জেডএস