ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

সুন্দরবনে ক্যাবল কার হলে পর্যটক আকর্ষণ বাড়বে

মাহবুবুর রহমান মুন্না, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৬
সুন্দরবনে ক্যাবল কার হলে পর্যটক আকর্ষণ বাড়বে ছবি: মানজারুল ইসলাম-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আরও বেশি আকৃষ্ট করতে সুন্দরবনের ওপর দিয়ে ক্যাবল কার চালু করা যেতে পারে। এতে টপ ভিউ থেকে বনের সৌন্দর্য ও বাঘ, হরিণ, বানরের মতো প্রাণী দেখার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা।

খুলনা: দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আরও বেশি আকৃষ্ট করতে সুন্দরবনের ওপর দিয়ে ক্যাবল কার চালু করা যেতে পারে। এতে টপ ভিউ থেকে বনের সৌন্দর্য ও বাঘ, হরিণ, বানরের মতো প্রাণী দেখার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা।

একইসঙ্গে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় হবে সরকারের।

খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন মালিকগ্রুপের মহাসচিব অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ কথা বলেন।

সাইফুল ইসলাম মংলা বন্দর ব্যবহারকারী সমন্বয় কমিটির মহাসচিব ও খুলনা চেম্বারের সহ-সভাপতি এবং খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

সাইফুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে ক্যাবল কার চালু এখন সময়ের দাবি। ক্যাবল কার চালু করা গেলে পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা সংযোজন হবে। এতে চড়ে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা বনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। সৌন্দর্যপিয়াসী পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হবে সুন্দরবন।

বর্তমান সরকার খুলনা-মংলা অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। একশোর বেশি ছোট-বড় শিল্প কল-কারখানা তৈরি হয়েছে। বেড়েছে কর্মসংস্থান। উন্নয়ন হয়েছে অবকাঠামোগত খাতেও। আশা করছি সরকার পর্যটন শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে সুন্দরবনে ক্যাবল কারও করবে। এমনটাই মনে করেন তিনি।

নগরীর যানজট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইজিবাইক এখন খুলনা নগরবাসীর জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। আনাড়ি চালকদের বেপরোয়া গতির কারণে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় অসংখ্য দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটছে। ইজিবাইকের কারণে যানজটও বেড়েছে কয়েকগুণ বেশি। এ অবস্থায় ইজিবাইক নগরবাসীর গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে।

খুলনা আগে একটি শান্তির নগরী ছিলো। এখন যানজটের নগরী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ২০ লাখ মানুষের শহরে ১০-২০ টাকা চাঁদা নিয়ে একটি চক্র ইজিবাইক ও মাহিন্দ্র চালাতে দিচ্ছে। অথচ দেশের কোনো নগরীতে এসব অবৈধ যান চলাচল করে না। এসব অবৈধ যান চলাচলের কারণে নগরবাসী কষ্ট পাচ্ছেন। মাহিন্দ্র যত দ্রুত গতিতে নগরীতে চলে তাতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মাহিন্দ্র গ্রামে চলতে পারে, কিন্তু শহরে এতো জোরে কোনোভাবেই চলতে পারে না। এটা পর্যটকবান্ধব নয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৬
এমআরএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।