হালকা শীতের আবহে পর্যটকরদের আনন্দ-উন্মাদনায় পুরো সৈকত জুড়ে বিরাজ করছে এক উৎসবমুখর পরিবেশ।
শান্ত সমুদ্রে স্নান আর মিষ্টি রোদে সৈকতে হাঁটাচলা-ঘোরাঘুরি ছাড়াও ইকোপার্ক, ইলিশ পার্ক, শ্রীমঙ্গল ও সীমা বৌদ্ধ বিহার, ফাতরারবন, লেবুর চর, গঙ্গামতির চর, কাউয়ার চর, শুঁটকি পল্লিসহ রাখাইন পল্লিতে দেশি-বিদেশি নানা বয়সী পর্যটকদের ক্লান্তিহীন ছুটোছুটি চলছে অবিরাম।
সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত, সমুদ্রের ঢেউ আর গঙ্গামতির চরে লাল কাঁকড়ার অবাধ বিচরণ দেখতে ভিড় দেখা গেছে পর্যটকদের।
খালি নেই ভালো মানের হোটেল-মোটেলের কক্ষ, তবে অভিযোগ রয়েছে বাড়তি মানুষের ভিড় দেখে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
বরিশাল থেকে কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা আরিফুর রহমান জানান, প্রতিবারের মতো পর্যটকদের ভিড় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হোটেলের রুম ভাড়া যেমনি বেড়েছে, তেমনি খাবারের দামও একটু বেড়েছে বলে মনে হচ্ছে। তবে কুয়াকাটার অপরূপ সৌন্দর্য দেখে আমরা মুগ্ধ।
এদিকে কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, কুয়াকাটায় বর্তমানে মোটামুটি ভালো পর্যটক রয়েছে, তবে গত বছরের চেয়ে এ বছর পর্যটক একটু কম।
পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি মহিপুর থানা পুলিশও তৎপর রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
এমএস/আরআর