দুই দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আগেই চিকিৎসা ভিসাপ্রাপ্তি সহজ করেছে ভারত। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যও রয়েছে বিশেষ সুযোগ।
অনেকের জানা নেই মেডিকেল ভিসা ছাড়াও ভারতে চিকিৎসা করা যায়। দেশটির যে কোনো হাসপাতালেই চাইলে যে কোনো বাংলাদেশি সব ধরনের টেস্ট থেকে শুরু করে ডায়াগনসিস করতে পারবেন। তবে যদি কেউ জটিল কোনো অপারেশন বা জটিল এমন কোনো রোগ নিয়ে যান, যাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকতে হবে কিংবা অপারেশন করাতে হবে- সেক্ষেত্রে মেডিকেল ভিসা জরুরি।
ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
ওই সূত্রের তথ্য, মেডিসিন, চোখসহ যে কোনো ডাক্তার দেখানো, এক্সরে, সিটিস্ক্যান, রক্তের বিভিন্ন টেস্ট প্রভৃতির জন্য মেডিকেল ভিসা না নিলেও চলবে। তবে একটি বিষয় সবার মনে রাখতে হবে- যদি রোগী মনে করেন তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে, করাতে হবে কোনো সার্জারি, কিংবা জীবনের ঝুঁকি রয়েছে, তাহলে অবশ্যই তাকে মেডিকেল ভিসা দেখাতে হবে।
ভারতে যেসব বাংলাদেশি যান তাদের ৬০ শতাংশ যান ট্যুরিস্ট ভিসায়। এদের কেউ যে ডাক্তার দেখান না, বিষয়টি এমনও নয়। তবে মেডিকেল ভিসা সিস্টেম থাকায় অধিকাংশ মানুষ মনে করেন ডাক্তার দেখানো মানেই বোধহয় তাকে মেডিকেল ভিসা নিতে হবে। এ ধারণাটি ভুল। বিশেষ ক্ষেত্রে ট্যুরিস্ট ভিসায় ডাক্তার দেখাতে কোনো বাধা নেই।
বর্তমানে প্রতিদিন ৬-৮ হাজার ভিসা ইস্যু করছে ভারতীয় হাইকমিশন। শীতে ট্যুরিস্ট সিজনে যা আরও বাড়তে পারে। অতীতে ঈদসহ বিশেষ ক্ষেত্রে অধিকসংখ্যক ভিসা দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে হাইকমিশন। নরেন্দ্র মোদী সরকারের সদিচ্ছা আর ঢাকায় নিযুক্ত বর্তমান হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার আন্তরিকতায় ভিসা প্রক্রিয়া হয়েছে অনেক সহজ, কম সময়সাপেক্ষ।
গত কয়েক বছরে ঢাকা-কলকাতা, খুলনা-কলকাতা ননস্টপ ট্রেন চলাচল, হরিদাসপুর ও গেদে রুটে রুট ব্যারিয়ার তুলে নেওয়া, ই-টোকেন ছাড়া ভিসা আবেদন, সিনিয়র সিটিজেনদের পাঁচ বছরের ভিসা, ট্যুরিস্ট ভিসায় সাধারণদের একবছর ভিসা দেওয়া প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে ভারত।
এছাড়া ঢাকায় চাপ কমাতে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জেলায় ভিসা সেন্টার খোলার ঘোষণা আগেই দিয়েছে হাইকমিশন। বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধীন। এটিসহ আরও বেশকিছু সুখবর শিগগির মিলবে ভারতভ্রমণ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে। প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্ক যে আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে তারই আভাস এসব পদক্ষেপ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
এএ/এইচএ