তিনি বলেন, এখাত থেকে সুফল ঘরে তুলতে হলে বেশি করে দক্ষ পর্যটন কর্মী তৈরি করতে হবে। আমাদের দেশে পর্যটনশিল্পে এখনো প্রচুর বিদেশি কাজ করে, যেখানে আমাদের দেশীয় লোকবলের কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন তাদের ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে জনশক্তি তৈরিতে কাজ করছে। দক্ষ পর্যটন কর্মী গড়ে তোলার জন্য পর্যটন কর্পোরেশন পরিচালিত ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর ঢাকা অফিসের বাইরেও বরিশাল ও কক্সবাজারে দুইটি নতুন কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে পৃথিবীতে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পর্যটন সম্পর্কিত পেশার সঙ্গে জড়িত। পর্যটনশিল্পের দ্রুত বিকাশের ফলে এ শিল্পে দেশের মানুষের কর্মসংস্থানের বড় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বেকারত্ব দূরীকরণে পর্যটনশিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের ২০১৮ সালের বাৎসরিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পর্যটনশিল্প প্রত্যক্ষভাবে ১১ লাখ ৭৮ হাজার ৫০০ লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে, যা ২০২৮ সালে গিয়ে দাঁড়াবে ১৬ লাখ ৪৮ হাজারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটন যেকোনো দেশের টেকসই উন্নয়নের হাতিয়ার। জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার অগ্রাধিকার খাত পর্যটনের উন্নয়নে সমন্বিত ও পরিকল্পিত কর্মকৌশলের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। পর্যটনখাতে বিনিয়োগের জন্য উদ্ভাবনী কর্মপরিকল্পনাসহ বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার জন্য আমরা উৎসাহ দিচ্ছি।
মাহবুব আলী বলেন, গত দশ বছরে বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার এরইমধ্যে বেশকিছু যুগান্তকারী কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছেন। পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে। আগামী ১৮ মাসের মধ্যে এ মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন সম্পন্ন হবে। মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদের পর্যটন উন্নয়ন কাজ পরিচালিত হবে। আমাদের আরো কিছু পরিকল্পনা রয়েছে যা বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের পর্যটনখাত দেশের অন্যতম বৃহত্তম শিল্পে পরিণত হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মুজিব উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. মো. আফজাল হোসেন ও প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার স্টিফেন জেমস পিটার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
টিএম/জেডএস