ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

বাংলাদেশের পর্যটক টানতে চায় ত্রিপুরা

তৌহিদুর রহমান, ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০
বাংলাদেশের পর্যটক টানতে চায় ত্রিপুরা ডুম্বুর লেক। ছবি: বাংলানিউজ

ত্রিপুরা থেকে ফিরে: বাংলাদেশে থেকে পর্যটক টানার চেষ্টা করছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকার। সে লক্ষ্যে ঢেলে সাজানো হচ্ছে রাজ্যটির বিভিন্ন পর্যটন স্পট। এদিকে ত্রিপুরায় যাতায়াতও বেড়েছে বাংলাদেশিদের।

ঢাকা থেকে ভারত সীমান্তের অন্য রাজ্যের চেয়ে তুলনামূলক কম সময়েই যাওয়া যায় ত্রিপুরা রাজ্যে। আর ত্রিপুরা সীমান্ত থেকে আগরতলা শহরে যেতে সময় লাগে মাত্র ১৫ মিনিট।

সহজ যাতায়াত ব্যবস্থা ও সময় সাশ্রয়ের কারণে বাংলাদেশিদের আগের চেয়ে ত্রিপুরা যাওয়াও বেড়েছে।

ত্রিপুরার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন সূত্র জানায়, গত ছ’মাসে প্রায় ৭২ হাজার বাংলাদেশি ত্রিপুরা গিয়েছে। আর ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে এসেছে ৫২ হাজার লোক।  

এ সংখ্যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি বলে জানায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন।  

এদিকে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার জানিয়েছে, সারাবিশ্ব থেকে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি পর্যটক ত্রিপুরায় আসছেন। শুধু গত বছর ত্রিপুরায় ভ্রমণ করেছেন পাঁচ লাখের বেশি পর্যটক। এর মধ্যে বাংলাদেশি পর্যটকদের সংখ্যাই বেশি।

সম্প্রতি ত্রিপুরায় অনুষ্ঠিত বাংলা-ভারত পর্যটন উৎসবে ত্রিপুরা সরকারের পর্যটনমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় দেখার জন্য অনেক কিছুই রয়েছে। এখানের ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি, তীর্থস্থানের পাশাপাশি বন, পাহাড়ের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কোনো অংশেই কম নয়। বাংলাদেশিরা খুব সহজেই এখানে ভ্রমণ করতে পারেন। বাংলাদেশি পর্যটকদের স্বাগত জানাতেও প্রস্তুত তারা।

ত্রিপুরার পর্যটনকেন্দ্র মুহুরিত্রিপুরা রাজ্য সরকারের পর্যটন বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ত্রিপুরার অন্যতম শীর্ষ পর্যটন স্পটগুলোর মধ্যে রয়েছে ঊনকোটি। আগরতলা থেকে ১৭৮ কিলোমিটার দূরে ঊনকোটি একটি তীর্থস্থান। পাহাড়ের গায়ে খোদাই করা পুরনো দেবদেবীর মূর্তি দেখতে তীর্থযাত্রী ছাড়াও আসেন বিভিন্ন দেশের পর্যটক। এছাড়া প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিলে অশোকাষ্টমী মেলা হয় এখানে। বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর তীর্থযাত্রী এখানে হাজির হয়।  

ত্রিপুরার অপর একটি পর্যটন নিদর্শন পিলাক। ৮-১২ শতাব্দীর মধ্যে বিভিন্ন ধর্মের নির্মিত পুরাকীর্তি দেখার জন্য প্রতি বছর দেশ বিদেশ থেকে পর্যটকরা এ স্থান ভ্রমণ করেন। স্থানটির সঙ্গে বাংলাদেশের পাহাড়পুর ও ময়নামতির পুরাকীর্তির সাদৃশ্য রয়েছে।

ত্রিপুরার পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন পিলাক

আগরতলার উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ ত্রিপুরার অপর এক পর্যটন স্থান। মহারাজা রাধা কিশোর মানিকিয়া ১২০ বছর আগে এই প্রাসাদ নির্মাণ করেন। দৃষ্টিনন্দন এ প্রাসাদটি সরকারি জাদুঘর হিসেবেও পরিচিত।  

এছাড়া ত্রিপুরার নীরমহল রাজ্যটিতে আসা পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য। এ প্রাসাদটি দেখতে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক ভিড় করে এখানে। প্রাসাদটির চারপাশে পানি থাকার ফলে এর নাম হয়েছে নীরমহল।  

এছাড়াও ত্রিপুরার দেবতামুড়া, ভুবনেশ্বরী মন্দির, গুণবতী গ্রুপ টেম্পল, ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির, গেদু মিয়া মসজিদ, মহামুনি প্যাগোডা, কমলাসাগর কালি মন্দির, ডুম্বুর লেক, জম্পুই পাহাড়, ছবিমুড়া ইত্যাদি স্থান দেখার জন্য বাংলাদেশ থেকে পর্যটক টানতে চায়  ত্রিপুরা রাজ্য সরকার।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০
টিআর/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।