ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে পর্যটন খাতে বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে ট্যুরিজম এডুকেটরস অ্যাসোসিয়েসন বাংলাদেশ।
সোমবার (০৬ এপ্রিল) সংস্থাটির সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ রাশিদুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতি অর্থনীতির ক্ষেত্রে ভয়াবহ মন্দার সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোও আজ করোনার আঘাতে কাবু। এমন সময়ে প্রধানমন্ত্রী ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন যা ৫টি প্যাকেজের আওতায় প্রদান করা হবে। ট্যুরিজম বাংলাদেশের একটি প্রসারমান শিল্প। অন্য সব সেবা ও শিল্প খাতের মতো এই শিল্পও করোনার প্রভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত। কারো কারো মতে, এখন পর্যন্ত ট্যুরিজম এবং হসপিটালিটি সেক্টরে সার্বিক ক্ষতির পরিমাণ আড়াই থেকে তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রণোদনা প্যাকেজের একটি অংশ ট্যুরিজমের জন্য আলাদা করার প্রয়োজন আছে। এক্ষেত্রে স্টার হোটেল এবং বড় রিসোর্টগুলোকে বড় শিল্প হিসেবে বিবেচনা ও মাঝারি, ছোট হোটেল এবং বড় রেস্টুরেন্টগুলোকে মাঝারি শিল্প এবং টুর অপারেটর, ট্রাভেল এজেন্টগুলোকে ক্ষুদ্র শিল্প হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিটিবি এবং বিপিসি এর তত্ত্বাবধানে শিল্পগুলোর স্কেল নির্ধারণের দাবি জানিয়ে বলা হয়, ব্যাংক ও গ্রাহকের সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে চলতি মূলধন বাবদ ঋণ দেবে। এখানে কোনোক্রমেই ট্যুরিজম এবং হসপিটালিটি সেক্টরের কোনো সমিতি, ফেডারেশন বা প্রতিষ্ঠান যেমন পাটা, টোয়াব, ট্রিডাব, টিডাব, হোটেল মালিক সমিতি ইত্যাদিকে জড়িত করা চলবে না। সুবিধাভোগকারীদের তালিকা বিটিবি এবং বিপিসি থেকেই করা হোক। সুবিধাভোগকারী সংস্থাগুলো নিজ নিজ ব্যাংকের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের উপর ভিত্তি করেই কে কত ঋণ পাবে তার ব্যবস্থা করবে। বাংলাদেশের ট্যুরিজম শিল্প আবারো মাথা উচু করে দাঁড়াক এই কামনা করি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২০
এইচএডি/
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।