বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিকেল ৩টায় এর প্রথম ওয়েবিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে থাইল্যান্ডের পর্যটন পরিস্থিতি ও কোভিড-১৯ পরবর্তী কর্মপরিকল্পনাকে সামনে রেখে আলোচনা করা হয়।
ঢাকায় থাইল্যান্ডের দূতাবাস, দেশটির পর্যটন কর্তৃপক্ষ ও সংস্থাটির ভারতীয় শাখা, থাই এয়ারওয়েজ ইন্টারন্যাশনাল, ঢাকা ও থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের ভেজথানি হসপিটাল এই ওয়েবিনারের যৌথ অংশীদার।
বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অরুনরাং ফোটোং হামফেরিস ছাড়াও এই ওয়েবিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে অংশ নেন ট্যুরিজম অথোরিটি অব থাইল্যান্ডের পরিচালক ভাচিরাচাই সিরিসুম্পান, বাংলাদেশে থাই এয়ারওয়েজ ইন্টারন্যাশনালের বিক্রয়-প্রধান এসএম জাহিদ হোসেন এবং থাইল্যান্ডের ভেজথানি হসপিটালের সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. প্রায়ুত উনগুলক্রাইত, আন্তর্জাতিক বিপণন নির্বাহী ডা.কুয়াং মিয়াত কিই উইন ও ওয়াসিউল আলম।
বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষাপটে থাইল্যান্ডের পর্যটনশিল্পের পরিস্থিতি, চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ভ্রমণেচ্ছুদের সুরক্ষায় গৃহীত ব্যবস্থা, জনসমাগমের স্থান ও বিমানভ্রমণে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা সংক্রান্ত উদ্যোগ এবং বিশেষ করে বন্ধুরাষ্ট্র বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, সুরক্ষা, মূল্যছাড় ও ভিসা ফি রেয়াতের প্রস্তাব-সহ নানা বিষয় নিয়ে এই ওয়েবিনারে আলোচনা করা হয়।
কয়েক দশক ধরেই বাংলাদেশি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্যের নাম থাইল্যান্ড। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় এক লাখ পর্যটক ছুটি, বিনোদন, চিকিৎসা, সামাজিক, ধর্মীয় ও ব্যবসায়িক প্রয়োজনে থাইল্যান্ড ভ্রমণ করে থাকেন। দেশটির সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও পেশাজীবী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটন-উদ্যোক্তারাও কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ও ক্ষতি মোকাবিলায় কার্যকর কর্মপরিকল্পনা তৈরির জন্যই এ ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।
আলোচনায় পর্যটকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও অন্যান্য জটিলতা এড়ানোর জন্য কিভাবে কর্মপরিকল্পনা আগানো যায় সে নিয়ে থাইল্যান্ড রাষ্ট্রদূত অরুনরাং ফোটোং বোটফকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
একইসাথে ভেজথানি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডা. প্রায়ুত জানান করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পর্যটকদের কিভাবে সেবা দেয়া হবে এবং তাদের কি কি সতর্কতা মেনে চলতে হবে।
আলোচনায় বোটফ সদস্যরা থাইল্যান্ড রাষ্ট্রদূতকে ভিসা প্রক্রিয়ার সময় কমাতে, ভিসা আবেদনের সংখ্যা বাড়াতে ও অন্যান্য ব্যবসায়িক সুবিধাদি তৈরিতে সহায়তার আবেদন করেন।
ওয়েবিনারের সঞ্চালক ও বোটফের প্রতিষ্ঠাতা চৌধুরী হাসানুজ্জামান রণি জানান, বৈশ্বিক পর্যটন বিষয়ক এই অনলাইন আলোচনায় বাংলাদেশি পর্যটকদের অন্যান্য জনপ্রিয় গন্তব্য নেপাল, ভুটান, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, চীন, ভারত-সহ যেসব দেশ এরই মধ্যে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রাথমিক সাফল্য অর্জন করেছে, সেসব দেশের প্রতিনিধিদের নিয়েও পর্যায়ক্রমে ওয়েবিনার আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
বাংলাদেশ আউটবাউন্ড ট্যুর অপারেটর ফোরাম (বিওটিওএফ) ২০১৯ সালের ৪ জুলাই বাংলাদেশের আউটবাউন্ড ট্যুর অপারেটরদের সুরক্ষার পাশাপাশি তাদে বিদেশি অংশীদারদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করার মিশন ও ভিশন নিয়ে গঠিত হয়েছিল। কেবল প্রকৃত বিদেশ ভ্রমণ ট্যুর অপারেটররা এই ফোরামের সদস্য এবং বর্তমানে এ সংগঠনে ১০০ টিরও বেশি নিবন্ধিত সদস্য রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২০
এমএমএস