অন্যদিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এতে পর্যটকশূন্য হয়ে গেছে তিন পার্বত্য এলাকায়।
পার্বত্য এলাকায় পাহাড়, ঝিরি ঝরনা ও উপত্যকা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম। পর্যটন মৌসুমে প্রতিবছরই ব্যাপক পর্যটকের সমাগম হয়। তবে এভাবে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এই খাতে। জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত পাহাড়ে প্রচুর পর্যটক সমাগম হলে এখন প্রায় পর্যটকশূন্য। বান্দরবানের মেঘলা, নীলাচল, স্বর্ণ মন্দির, রামজাদি, শৈলপ্রপাত, চিম্বুকসহ বিভিন্ন দর্শনীয় কেন্দ্রগুলোতে এখন সুনসান নিবরতা।
করোনায় বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে কম আসায় লোকসান গুনছে পরিবহন শ্রমিকরা। বান্দরবানের পর্যটকবাহী যান চালক মো আলমগীর বলেন, করোনার কারণে পর্যটক কমে গেছে। প্রতিদিন কমপক্ষে এ সময়টা ৫০টা চান্দের গাড়ি নীলগিরিতে যেত এখন সব বন্ধ, ভাড়ায় চালিত সিএনজি যেত ২০ থেকে ২৫টা। এখন পর্যটক নিষিদ্ধ করায় কোনো আয় নেই।
বান্দরবানের পর্যটকবাহী যান চালক আবুল কাসেম বলেন, প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষে বান্দরবানে প্রচুর পর্যটক এলেও এবার করোনায় বান্দরবানে কোনো পর্যটক আসেনি।
বান্দরবানের আবাসিক হোটেল হোটেল হিলভিউর জিএম সুলতান নাফিজ বলেন, প্রতিবছর এ সময়টা বান্দরবানে প্রচুর পর্যটক সমাগম হলে ও এবার পর্যটক নেই। যারা সামনের ছুটিতে বেড়াতে আসার কথা তাদের আসার সম্ভাবনা কম। এই নিষেধাজ্ঞা লম্বা হলে লোকসান গুনতে হবে আমাদের সবাইকে।
বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শামীম হোসেন বলেন, প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৫ মার্চ থেকে বান্দরবানের সব বিনোদনকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয়দের সুরক্ষায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২০
এএটি