বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, কর্মশালায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পর্যটন বিষয়ক কমিটির সদস্য, প্রেসক্লাবের প্রতিনিধি, সব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সব পৌরসভা চেয়ারম্যান, সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সব সহকারী কমিশনার (ভূমি), বন বিভাগের কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষাবিদ, শিক্ষক প্রতিনিধি, স্থানীয় ট্যুর অপারেটর, বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধি, হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট মালিক সমিতির প্রতিনিধি, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, ট্রাভেল এজেন্টদের প্রতিনিধি, চেম্বারস অব কমার্সের প্রতিনিধি, শিল্পকলা একাডেমির প্রতিনিধি, অন্য পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করবেন।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় বাংলাদেশের পর্যটনের উন্নয়নের লক্ষ্যে যে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে তাতে সব পর্যায়ের অংশীদারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য এ ধরনের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও জননেত্রী শেখ হাসিনার তৈরি বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের কার্যক্রম প্রান্তিক পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে পর্যটন শিল্প পুনরুদ্ধারে আমাদের অভ্যন্তরীণ পর্যটক একটি বড় শক্তি হিসেবে পরিগণিত হবে। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের আয়োজনে দেশের ৬৪ জেলার সঙ্গে পৃথকভাবে আয়োজিত এ অনলাইন কর্মশালা সিরিজের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ের পর্যটন অংশীদারদের সঙ্গে পর্যটন উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় ও কর্মপরিকল্পনা শেয়ার করার সুযোগ তৈরি হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এ কর্মশালা সিরিজের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশীদারিত্ব বৃদ্ধিকরণ। এছাড়া এ কর্মশালা আয়োজনের অন্য লক্ষ্যগুলো হলো- বাংলাদেশের পর্যটক আকর্ষণীয় স্থানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, নতুন পর্যটন আকর্ষণীয় স্থান চিহ্নিতকরণ, সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, পর্যটন খাতে স্থানীয় পর্যায়ের বেসরকারি বিনিয়োগ উদ্বুদ্ধকরণ, স্থানীয় উন্নয়ন কার্যক্রমে পর্যটনকে অন্তর্ভুক্তিকরণ, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে পর্যটন শিল্প পুনঃউদ্ধারের কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিতকরণ, হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, সাফারি পার্ক, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, পর্যটন কেন্দ্র ইত্যাদি পরিচালনার জন্য অনুসরণীয় Standard Operating Procedure (SOP) বিষয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও পর্যটনকর্মীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
টিএম/আরবি/