রাজশাহী: বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে স্থবির গোটা বিশ্ব। সর্বত্রই বিরাজ করছে এক অজানা আতঙ্ক।
সকাল থেকে সন্ধ্যা গড়িয়ে খানিক রাত অবধি পদ্মানদীর কূলে মানুষের আনাগোনা। সারাদিন হৈ চৈ, আনন্দে মাতামাতি, ছোট ছোট নৌকায় পাড়ি দেওয়া- এসব নিয়ে এখন মুখরিত পদ্মার পাড়।
গ্রীষ্ম, শীত, বর্ষা কিংবা শরৎ- সব ঋতুতেই পদ্মানদী ঘিরে মানুষের উদ্দীপনার শেষ নেই। গ্রীষ্মে শুকিয়ে কাঠ কিংবা বর্ষায় পানিতে টইটম্বুর সব সময় মানুষকে কাছে টানে। নিয়ে যায় এর নৈসর্গিকতায়।
ভাদ্রে এসে যৌবন ফিরেছে রাজশাহীর পদ্মানদীর। কতদিন আগে হাওয়ায় ঢেউয়ের নাচন ছিল পদ্মার প্রবাহে তা প্রায় ভুলতেই বসেছিল নদীপারের মানুষ। তবে এবার স্বরূপে ফিরে এসেছে এ নদী। এখন আবারও সেই যৌবনা পদ্মা। শ্রাবণ পেরিয়ে ভাদ্রে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে এককালের যৌবনা প্রমত্তা পদ্মা। পানি বাড়ার কারণে পদ্মার কূলে ফিরে এসেছে চির যৌবনার উচ্ছ্বাস।
করোনার কারণে শুরু থেকে কোলাহল ছিল না তেমন। তবে লকডাউন তুলে দেওয়ার পর থেকে পদ্মানদী পেয়েছে মানুষের সঙ্গ। ভ্রমণপিপাসু মানুষও তাই পদ্মায় এখন পুলকিত। করোনায় গৃহবন্দি থেকে মুক্তি আর প্রখর গরমে বিরক্তির প্রহর এড়াতে সুযোগ পেলেই ছুটে আসছেন বিনোদনপ্রেমীরা। সেখানে উপচে পড়া ঢেউয়ে চোখ পড়তেই শরীর ও মনের হাজারো ক্লান্তি আর অবসাদ মুহূর্তেই কোথায় যেন হারিয়ে যায়।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নগরীর পদ্মাপাড়ে গিয়ে দেখা যায়, সর্বত্র মানুষের কোলাহল। পদ্মার যৌবনা রূপ দেখতে সব বয়সী মানুষের জটলা। নদীতে পানির প্রবাহ বাড়ায় মাঝিদের ব্যস্ততাও বেড়ে গেছে। এখন ভরা বর্ষায় পদ্মায় নৌকা ভাসছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিনোদনপ্রেমীরা ভিড় করছেন নদীর ঘাটে। দলবেঁধে বেরিয়ে পড়ছেন নৌভ্রমণে।
সেখানে ঘুরতে আসা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু ছিদ্দীক ওসমানী বলেন, পদ্মায় নৌকা ভ্রমণের আনন্দ অনেক বেশি। তাই নির্মল বাতাসে নদীর বুকে নৌকায় বেড়ানোর জন্য মাঝে মধ্যেই দলবেঁধে আসি।
নগরীর উপশহর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মাজেদ বলেন, রাজশাহীর সবকিছুই যেন এখন পদ্মানদী ঘিরে। করোনা সংক্রমণের এই সময়েও পদ্মা ঘিরেই মানুষের আনাগোনা। পদ্মার তীর ঘেঁষে ব্যবসা-বাণিজ্যও জমে উঠেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
এসএস/এএ