বান্দরবান: টানা তিন দিনের সরকারি ছুটি থাকায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কার মধ্যেও বান্দরবানে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) তিন দিনের ছুটির কারণে বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ও হোটেল-মোটেলে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটেছে।
বান্দরবানে পর্যটকবাহী গাড়িরচালক মো. জামাল বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে করোনার কারণে বান্দরবানে আমরা গাড়ি চালাতে পারি নাই, কিন্তু ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা তিন দিনের ছুটি থাকায় বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ও হোটেল-মোটেলে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটেছে। তাই আমরা পর্যটকদের বিভিন্ন পর্র্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণের জন্য নিয়ে যেতে পারছি।
বান্দরবানে পর্যটকবাহী গাড়ির চালক বাপ্পী বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বান্দরবানে প্রচুর পর্যটক এসেছে। আমাদের মালিক সমিতির ট্যুরিস্টবাহী বেশিরভাগ জিপ গাড়িগুলো বুকিং রয়েছে তিন দিনের জন্য।
বান্দরবানের আবাসিক হোটেল গ্রীনল্যান্ডের স্বত্তাধিকারী মো. মহিউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, তিন দিনের ছুটি থাকায় বান্দরবানে পর্যাপ্ত পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আমাদের বেশিরভাগ রুম বুকিং হয়ে গেছে, পর্যটকদের সেবা দিতে আমরাও প্রস্তুত রয়েছি।
বান্দরবান হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ বাংলানিউজকে বলেন, তিন দিনের ছুটিতে বান্দরবানে বেশ পর্যটকের সমাগম হয়েছে, বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল বুকিং হয়ে গেছে। জেলা সদরের হোটেল-মোটেলের রুম বুকিং হয়ে যাওয়ায় অনেক পর্যটক বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলায় ঘুরতে চলে যাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, বান্দরবান জেলায় ৬০টি হোটেল-মোটেল রয়েছে আর পর্যটকবাহী যান রয়েছে প্রায় চার শতাধিক এবং এই পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত জেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
এদিকে বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরিন আখতার বাংলানিউজকে বলেন, বান্দরবান একটি পর্যটন জেলা আর এই জেলাতে সবসময় দেশি-বিদেশি পর্যটকের সমাগম হয়। ২১ ফেব্রুয়ারির ছুটি ঘিরে বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ইতোমধ্যে প্রচুর পর্যটক সমাগম হয়েছে এবং বান্দরবান জেলা পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১
আরএ