কক্সবাজার থেকে: করোনাকাল কাটানোর পর থেকে কক্সবাজারের পর্যটন এলাকাগুলোর পথে পথে ভিড় বেড়েছে দর্শনার্থীর। হোটেল-মোটেল, খাবারের হোটেল-রেস্টুরেন্ট ও বার্মিজ বাজারগুলোতে বেড়েছে বেচাকেনা।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) সকালের থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজারের বিভিন্ন স্পট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
বেসরকারি কর্মকর্তা আফতাব আহমেদ মঙ্গলবার রাতে সপরিবারে ঘুরতে এসেছেন পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দর্শনার্থীদের ভিড় কম থাকবে আশা করে পরিবার নিয়ে এসেছি। কিন্তু মানুষের আনাগোনা দেখে এখন অবাক লাগছে। মার্কেটগুলোতেও ছিলো উপচে পড়া ভীড়।
ঢাকা থেকে বান্ধবীকে নিয়ে কক্সবাজারে এসেছেন রাতুল রায়হান। তিনি বলেন, সিজন শুরুর আগে হোটেলগুলোতে রুম ভাড়া কম থাকে। যেকারণে প্রিয় মানুষকে সঙে নিয়ে বেড়াতে এসেছি। কিন্তু এখন দেখছি ভাল হোটেল গুলোতে রুম পাওয়ায় দুরহ হয়ে পড়েছে। তবে দীর্ঘসময় পর সমুদ্র সৈকতে মানুষের আনাগোনাও দেখতে ভাল লাগছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনার কারণে দীর্ঘদিন পর্যটনখাত বন্ধ ছিল। ফলে ব্যবসায়ীকভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা। অনেকে ঋণের বোঝা নিয়ে ব্যবসা ছেড়েছেন। অনেকে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।
বার্মিজ স্যান্ডেল বিক্রি করে শাহিন। তিনি বলেন, করোনাকালে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে ছিল। ভ্রমণপিপাসুদের আগমন এমন চললে ক্ষতিপুষিয়ে উঠতে সময় লাগবেনা।
তবে পর্যটকরা বলছেন, কক্সবাজারে সবকিছুর এতো বেশি দাম বাড়ানো হয়েছে তাতে বিপত্তিতে পড়তে হচ্ছে। খাবারের দাম, যাত্রা ভাড়া সবকিছুর মূল্য অনেক বেশি হয়ে গেছে।
পরিবারের জন্য উপহার কিনতে এসে রায়হান বাংলানিউজকে বলেন, এখানে একটায় সমস্যা তা হলো ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের ঠকাতে মরিয়া থাকেন। এছাড়াও বিক্রেতারা খারাপ ব্যবহার করেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তবে স্থানীয়রা বলছেন, করোনা এখনো শেষ হয়নি। কিন্তু এরই মধ্যে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই দেখা যাচ্ছে না। ফলে সংক্রমণ আবারো বেড়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২১
এমএমআই/এনটি