ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাণিজ্যমেলা

উদ্বোধনী দিনে দর্শনার্থী থাকলেও ক্রেতা নেই বাণিজ্যমেলায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২৩
উদ্বোধনী দিনে দর্শনার্থী থাকলেও ক্রেতা নেই বাণিজ্যমেলায়

ঢাকা: শুরু হয়েছে মাসব্যাপী ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। তবে, উদ্বোধনী দিনে রোববার (১ জানুয়রি) ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম।

যদিও বিকেলের দিকে আস্তে-আস্তে ভিড় বাড়তে শুরু করে মেলা প্রাঙ্গণে। যারা এসেছেন তাদের অধিকাংশই এসেছেন ঘুরে দেখতে।

রোববার দিনভর রাজধানীর পূর্বাচলেবঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এবারে মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, নেপালসহ ১২টি দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন।

এবারের মেলায় মোট ১৭টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। আর দেশি-বিদেশি মিলিয়ে মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। গতবার এই সংখ্যা ছিল ২২৫টি।

মেলায় দেশীয় জনপ্রিয় ব্রান্ড ওয়ালটন, ভিশনের মতো ইলেকট্রনিকস এবং হাতিল, আখতারের মতো হোম এপ্লাইয়েন্স পণ্যের স্টল যেমন আছে, তেমনি বিদেশি কাপড়, ইলেকট্রনিকস, কসমেটিকসসহ বিভিন্ন পণ্যের খ্যাতনামা স্টলও রয়েছে। এছাড়া ল্যান্ড, ট্রাভেল এজেন্সি, ফুডমেকিং, শিশুদের খেলনাসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যের পসরা নিয়ে স্টল সাজিয়েছেন বিক্রেতারা।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী মাহাবুবা মরিয়ম থাকেন রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায়। তিনি এবং তার দুই সহকর্মী মিলে ইন্ডিয়ান ফুটওয়্যার নামে একটি স্টলে জুতো দেখছিলেন। বাংলানিউজেকে তিনি বলেন, আমরা মূলত ঘুরতেই এসেছি। মেলায় আমাদের প্রতিষ্ঠানের একটা স্টল রয়েছে। সোমবার থেকে সেটির কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হবে, আজ উদ্বোধন হল। আসলে আমরা কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই এসেছি এখানে। তবে, এই জায়গায় আসাটা কিছুটা সমস্যার। মূল শহর থেকে বেশ দূরে। সময় বেশি লাগে। চাকরিজীবী হওয়াতেই মূলত সমস্যা। তবে এখানে এসে সবকিছু মিলিয়ে ভালই লাগছে।

ইন্ডিয়ান ফুটওয়্যার নামে ভারতীয় স্টলের কর্মী কুমার বর্মা বাংলানিউজকে বলেন, উদ্বোধনই হল কয়েকঘণ্টা আগে। তবুও এখন পর্যন্ত ভালো সাড়া পাচ্ছি বলতে হবে। যারা আসছেন, তারা মূলত দেখছেন। আশাকরি কয়েকদিন গেলে বিক্রিও বাড়বে।

মেলায় স্টলের পাশাপাশি রয়েছে খাবারের জন্য ফুড-কোর্ট, নিরাপত্তার জন্য পুলিশ কন্ট্রোল রুম। এবার মেলায় আছে মিনি শিশুপার্কও। মেলার প্রবেশদ্বারে মেট্রোরেলের আদলে দুটি গেট তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া মেলার প্রবেশমুখেই রয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নার।

সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জের বেলাবো পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মেলা কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য এখানে নিয়মিত টহলের পাশপাশি সার্বক্ষণিক সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন  আছে। দর্শনার্থীদের প্রবেশ এবং যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার জন্য ট্রাফিক পুলিশও এখানে কাজ করছে। এছাড়া এখানে কন্ট্রোলরুম, ওয়াচ-টাওয়ার এবং সিসিটিভিও রয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়টি যাতে পুরোপুরি বজায় থাকে সেজন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ তৎপর রয়েছে।

মেলা সংশ্লিষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, মূলত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস এবং উদ্বোধনী দিন হওয়ায় এখনো সেভাবে জমে ওঠেনি মেলা। তবে দিন যত গড়াবে আস্তে-আস্তে মেলা আরও জমজমাট হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২৩
এমকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।