ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাণিজ্যমেলা

মেলা শুরু হলেও অসমাপ্ত প্যাভিলিয়ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৪
মেলা শুরু হলেও অসমাপ্ত প্যাভিলিয়ন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: ১৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার দরজা খুললেও অসমাপ্ত রয়ে গেছে অধিকাংশ প্যাভিলিয়ন তৈরির কাজ। তবে দু’এক দিনের মধ্যেই কাজ সমাপ্ত হবে বলে জানান বিভিন্ন প্যাভিলিয়নের কর্মকর্তারা।


 
অন্যদিকে, প্রথম দিন মেলায় ঘুরতে আসা ক্রেতা-দর্শনার্থীরা অনেকটা হতাশা প্রকাশ করেন বাংলানিউজের কাছে। তারা বলেন, মেলায় প্রবেশ করতে হচ্ছে টিকিট কেটে। কিন্তু বেশিরভাগ প্যাভিলিয়নই এখনও উন্মুক্ত করা হয়নি। ফলে কেনা-কাটার উদ্দেশ্য নিয়ে আসলেও প্যাভিলিয়নে প্রবেশ করতে পারছে না কেউ।
 
এদিকে বেলা দেড়টার দিকে মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। তবে বেলা তিনটা পর্যন্ত  দর্শনার্থীদের তেমন উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।
 
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, প্রবেশ পথে বিগত বছরগুলোতে যে ভাবে বাঁশ বেঁধে প্রবেশের রাস্তা তৈরি করা হয় এবার কিন্তু তা করা হয়নি। তবে প্রবেশ পথে মেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা হাতে মোটা রশি নিয়ে প্রধান প্রবেশ পথে গোল করে দাঁড়িয়ে আছে। দর্শনার্থীরা টিকিট কেটে আসলে তাদের দড়ি উচু করে প্রবেশ করানো হচ্ছে।
 
তবে কর্মীরা জানিয়েছেন আজকে রাতের মধ্যেই প্রবেশ পথ তৈরি করা হবে।
 
শনিবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক এ বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করেন। অন্যান্য বছরের মতো এবারও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এ মেলার আয়োজন করেছে।
 
তবে বিগত বছরগুলোতে এই মেলা জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে শুরু হলেও এ বছর রাজনৈতিক অস্থিরতা ও জাতীয় নির্বাচন মাথায় রেখে মেলা পিছিয়ে নেওয়া হয়।
 
হরতাল-অবরোধে মেলা বাধাগ্রস্ত হওয়ার সেই আতঙ্ক অবশ্য রয়েই গেছে। কেননা মেলা শুরুর পরদিন থেকেই আবার ১৮ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ কর্মসূচির পূর্ব ঘোষণা রয়েছে। ফলে একাধিক দিন মেলায় আসার বিষয় অনিশ্চিত হয়ে পরেছে অনেকের।
 
মেলায় যথারীতি গার্মেন্ট, টেক্সটাইল, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস, পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা, ক্রীড়াসামগ্রী, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ঘড়ি, জুয়েলারি, সিরামিকস, টেবিলওয়্যার, দেশীয় বস্ত্র, মেলামাইন, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, আসবাবপত্র, হস্তশিল্পসহ গৃহস্থালি পণ্যের প্রদর্শন ও বিক্রয়ের আয়োজন থাকছে।
 
জানা যায়, মেলায় ৯৬টি বড় প্যাভিলিয়ন, ৪৯টি ছোট আকারের প্যাভিলিয়ন, ৩১৬টি স্টল, ১০টি রেস্তোরাঁসহ স্থাপনার সংখ্যা থাকছে ৪৭১টি।
 
বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারের মেলায়ও নয়নাভিরাম বঙ্গবন্ধু স্মৃতি প্যাভিলিয়ন তৈরি করা হয়েছে। শনিবার কোনো প্যাভিলিয়নে প্রবেশ করতে না পেরে দর্শনার্থীরা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি প্যাভিলিয়নে ভীর করছেন।
 
আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের বাড়তি নিরাপত্তায় মেলা প্রাঙ্গণে পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে বিজিবি। দর্শনার্থীদের বিশ্রামের জন্য আমব্রেলা স্পট, তিনটি মা ও শিশু পরিচর্যাকেন্দ্র, খাবারের দোকানে মূল্যের আধিক্য যাচাই ও মান পরীক্ষা, সুন্দরবনের আদলে ইকোপার্ক তৈরি করা হয়েছে। রয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা ও রক্তদানকেন্দ্র।
 
মেলায় স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়া ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, হংকং, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুরসহ মোট ১২টি দেশ অংশ নিচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের কোনো প্যাভিলিয়ন দেখা যায়নি।
 
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় প্রবেশ ফি ৩০ টাকা। তবে শিশুদের জন্য তা ২০ টাকা।
 
উল্লেখ্য, গতবারের মেলায় ১৫৭ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ পাওয়া গিয়েছিল।  

* মাসব্যাপী বাণিজ্যমেলা শুরু
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৪
সম্পাদনা: বেনু সূত্রধর, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।