মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: বাণিজ্যমেলা শুরুর পর প্রথম অফিস ছুটির দিনেই দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ১৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণ।
মঙ্গলবার পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মেলা দেখতে ছুটে আসছেন নগরবাসী।
কেউ সপরিবারে, কেউ বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে, আবার কেউ হবু জীবন সঙ্গীকে (পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হওয়া) সঙ্গে নিয়ে এসেছেন মেলা প্রাঙ্গণে।
মঙ্গলবার মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, সকাল ১১টার পর থেকেই মেলায় দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। দুপুর সাড়ে ১২টার আগেই মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দর্শণার্থী। এছাড়া মেলার বাইরেও অপেক্ষায় রয়েছেন অনেকেই।
যাত্রাবাডী থেকে সপরিবারে এসেছেন দুই সন্তানের বাবা মহিবুল ইসলাম। তিনি জানান, গত ৩ বছর ধরে তিনি নিয়মিত বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে আসেন। পছন্দের কিছু চোখে পড়লে তা কেনার সাধ্যমতো চেষ্টা থাকে তার।
মহিবুল বলেন, মেলা শুরু হয়েছে। বাচ্চারা প্রথম দিন থেকেই মেলার আসার জন্য বায়না ধরেছে। কিন্তু, অফিস থাকায় আসতে পারিনি। ছুটি মিলতেই চলে এলাম।
বাচ্চারা যতক্ষণ থাকতে চাইবে, ততক্ষণ মেলায় থাকার আশা প্রকাশ করেন তিনি। সেই সঙ্গে পছন্দের কিছু কেনাকাটারও চেষ্টা আছে বলে জানান।
ধানমন্ডি থেকে এসেছেন নব বিবাহিত ব্যাংক কর্মকর্তা তরিকুল। কথা হয় তার সঙ্গে। তরিকুল বলেন, নতুন বিয়ে করেছি। কিন্তু এখনো সংসার গোছানো হয়নি। ধানমন্ডিতে নতুন বাসা নিয়েছি। মেলায় এসেছি ঘর সাজানোর কিছু ফার্নিচার কেনার উদ্দেশ্যে। এছাড়া সহধর্মিনীর জন্য বিশেষ কিছু কেনার ইচ্ছাতো আছেই।
হবু জীবন সঙ্গীকে নিয়ে বাড্ডা থেকে এসেছেন আশিকুর রহমান। তাদেরও উদ্দেশ্য ঘর সাজানোর কিছু ফার্নিচার কেনা।
আশিকুর বলেন, পারিবারিকভাবে তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি তাদের বিয়ে। এ জন্য মিলিকে (হবু স্ত্রী) নিয়ে মেলায় এসেছি।
আজিমপুর থেকে দল বেঁধে এসেছেন পাঁচ বন্ধু কবি নজরুলের কলেজের ছাত্র আরিফ, মুকুল, জামিল, রাশেদ ও শিহাব। উদ্দেশ্য সন্ধ্যা পর্যন্ত মেলায় ঘুরবেন, আনন্দ করবেন।
মেলা কেমন লাগছে এ প্রশ্ন করতেই রাশেদ বলেন, মেলায় ঘুরতে সব সময় ভালোই লাগে। এখানেও ভালো লাগছে। তবে মেলা এখনো তেমন জমে ওঠেনি। মেলায় যত ভিড় বাড়ে, ঘুরতেও তত ভালো লাগে।
এদিকে, মেলার প্রথম দিকেই দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে আয়োজক রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান সুভাশিষ বসু।
তিনি বলেন, মেলায় উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক দর্শনার্থী আসছেন। আশা করি, ছুটির দিন হওয়ায় বিকেলের মধ্যে মেলা প্রাঙ্গণ দর্শনার্থীতে ভরে উঠবে।
তিনি আরো বলেন, মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য ইকোপার্কের পাশাপাশি বিনোদনের বিভিন্ন ব্যবস্থা করা হয়েছে। নয়নাভিয়াম করে সাজানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকেন্দ্র। আশা করি, এসব দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৪
সম্পাদনা: জনি সাহা, নিউজরুম এডিটর/এবি