মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: মেলায় ক্রেতাদের আকৃষ্ট করেছে আরএফএল কোম্পানির কাঠ-রেক্সিন-ফোমের তৈরি সিঙ্গেল ও ডাবল ‘ন্যানো সোফা’। মূলত সোফার নকশার কারণেই আকৃষ্ট হচ্ছেন দর্শনার্থী-ক্রেতারা।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ১৯ নম্বর প্যাভিলিয়নে এবারই প্রথম আরএফএল’র ফার্নিচার ব্রান্ড ‘রিগ্যাল’ শোরুম বসেছে। তবে প্রথম বছরেই বাজিমাত তাদের ব্রান্ডের ফার্নিচার- এমনই দাবি আরএফএল কর্তৃপক্ষের।
ফার্নিচার মেলায় ‘রিগ্যাল’ ক্রেতাদের জন্য নিয়ে এসেছে স্বল্পমূল্যে ল্যাপটপ টেবিল, কম্পিউটার টেবিল, বাসাবাড়ি ও অফিস সাজানোর শতাধিক ফার্নিচার।
রিগ্যাল প্যাভিলিয়নে সবচেয়ে কম, নয়শ টাকায় ল্যাপটপ টেবিল আর সর্বোচ্চ ২৪ হাজার টাকায় আলমারি পাওয়া যাচ্ছে বলে বাংলানিউজকে জানান প্যাভিলিয়নের জোনারেল ম্যানেজার মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, এবারই মেলায় প্রথম স্টল নিয়ে আমাদের পণ্য ক্রেতাদের নজর কেড়েছে। মেলায় নতুন এ ফার্নিচারের বিক্রির অর্ডারও পাচ্ছি বেশ ভালো।
সোফার পাশাপাশি মধ্যবিত্ত মানুষের সাধ্যের মধ্যে মেলায় আরও প্রদর্শন করা হচ্ছে খাট, আলমারি, ডাইনিং টেবিল, শোকেস ও সোফাসহ শতাধিক ফার্নিচার।
এছাড়াও প্লাস্টিক সামগ্রীর জন্য আরএফএল আলাদা দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়ন নিয়েছে। প্যাভিলিয়ন নম্বর ১৮। যেখানে প্রায় তিন শতাধিক প্লাস্টিকের পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। তবে ফার্নিচারের চেয়ে আরএফএল’র প্লাস্টিক সামগ্রীর দিকে ঝোঁক বেশি ক্রেতাদের। মূলত সংসারের টুকিটাকি জিনিস থেকে শুরু করে সবধরনের প্লাস্টিক সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে এ প্যাভিলিয়নে।
প্লাস্টিক সামগ্রীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে- লবণের পাত্র ও শিশুদের খাবার বহনকারী হটপট, প্লেট, চেয়ার, বাটি ইত্যাদি। মেলা উপলক্ষ্যে আরএফএল প্লাস্টিক বাজারে নিয়ে এসেছে পানির বোতল, মগ, টুল, বোল, কন্টেইনার, ট্রে, মেলামাইনের ডিনার সেট প্রভৃতি।
তবে ক্রেতাদের জন্য প্রতি তিনশ টাকার পণ্য কিনলেই দেওয়া হচ্ছে একটি ফ্রি প্রাণ নুডলস। আর তাতেই সন্তুষ্ট ক্রেতারা।
আরএফএল প্লাস্টিক প্যাভিলিয়ন থেকে প্লাস্টিক সামগ্রী কিনে বের হচ্ছিলেন হালিমা বেগম। বের হওয়ার সময় তিনি বলেন, খুবই ভালো লাগছে। এক জায়গায় সংসারের অনেক টুকিটাকি জিনিস পাওয়া যাচ্ছে আরিএফএল’র এই প্যাভিলিয়নে। এছাড়া পণ্য কেনায় আমাদের ফ্রি দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েক প্যাকেট লুডলস।
আরএফএল’র প্লাস্টিক প্যাভিলিয়নে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের চাপে অনেকেই প্রবেশ করতে পারছেন না। এত দর্শক সমাগম হওয়ার পরও বেচাকেনা গত বছরের চেয়ে কম বলে দাবি করেন প্যাভিলিয়নের ডেপুটি ম্যানেজার সাদ্দাম হোসেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থী অনেক কিন্তু পণ্য ক্রেতা কম। ফলে অন্য বছরগুলোর চেয়ে এ বছর বিক্রি কিছুটা কম। তবে আরও কিছুদিন গেলে আমাদের বিক্রি অনেক বাড়বে। অনেকে এখনো পণ্য পছন্দ করে তথ্য সংগ্রহ করছেন। অন্যদিন মেলায় এসে পণ্য কিনবেন বলেও জানিয়েছেন অনেক ক্রেতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৪
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর