ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাণিজ্যমেলা

মেলায় ঘুরে ক্লান্ত দর্শনার্থীদের বিশ্রাম

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৪
মেলায় ঘুরে ক্লান্ত দর্শনার্থীদের বিশ্রাম ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: ‘সকাল থেকে মেলা প্রাঙ্গণে প্রায় ৫০টি স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেছি। তবে এখনও কিছু কিনিনি।

কয়েকটি পণ্য পছন্দ করে রেখেছি। হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হবে তাই ফেরার পথে কিনবো। এখন আমরা সবাই ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত। তাই ছায়ায় বসে একটু বিশ্রাম ও দুপুরের খাওয়া সেরে নিচ্ছি। একটু পরে আরও কিছু স্টল ঘুরে বাসায় ফিরবো’।
 
নিজের অনুভূতি এভাবেই ব্যক্ত করছিলেন সদরঘাট এলাকা থেকে আসা বাণিজ্য মেলায় ফতেমা খাতুন।
 
১৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় আসা কয়েকশ দর্শনার্থী সকাল থেকে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত। দুপুরের রৌদ্রে পরিবারের সবাই ক্লান্ত হয়ে মেলার ভেতরের গাছ অথবা প্যাভিলিয়নের ছায়ায় একটু বিশ্রাম নিচ্ছেন।
 
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির স্টল ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মাঝে বট গাছের নিচে বেড সিট পেতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন অনেক দর্শনার্থী। বিশেষ করে যারা সকালে মেলায় এসেছেন তারা ছায়ায় বসে দুপুরের খাবার খাচ্ছেন।
 
মেলায় বট গাছের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছেন পল্টন থেকে আসা রোকন উদ্দিনের পরিবার। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। সকালে পরিবারের মোট ৭ সদস্য নিয়ে মেলায় এসেছেন। সাথে তৈরি করা খাবারও নিয়ে এসেছেন।
 
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘সকাল থেকে বিভিন্ন স্টল ঘুরে পণ্য দেখেছি। এখন আমরা সবাই ক্লান্ত। তাই গাছের ছায়ায় বেড সিট পেতে একটু বিশ্রামও নিয়ে নিচ্ছি। দুপুরের রৌদ কমলে আমরা আবার বের হব।
 
খাবারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেলায় খাবার দোকানগুলোতে অনেক বেশি দাম রাখছে। আমরা বন্ধুদের কাছ থেকে জানতে পেরে পরিবারের সবার জন্য হটপটে বাসায় তৈরি খাবার নিয়ে এসেছি। বিশ্রাম নেওয়ার ফাঁকেই দুপুরের খাবার খাচ্ছি। আশা করি একটু পরেই আবার বের হতে পারবো।
 
উত্তরা থেকে আগত রোজিনা খাতুন মেলায় এসেছেন তার তিন সন্তানকে নিয়ে। মেলায় ঘুরে ক্লান্ত হয়ে তারা এখন মিনি শিশু পার্কের পাশে গাছের নিচে বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন। বাচ্চাদের চকলেট, নুডুলসসহ বিভিন্ন খাবার কিনে দিলেও তিনি বাসা থেকে আনা খাবার খাচ্ছেন।
 
রাশেদুল ইসলাম নামে আরেক দর্শনার্থী বলেন, মেলা প্রাঙ্গণে আরও বেশি গাছ থাকা দরকার। যেহেতু আমাদের বসার জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। তাই গাছ থাকলে আমরা তার ছায়ায় বসে বিশ্রাম নিতে পারি।
 
তিনি আরও বলেন, মেলা প্রাঙ্গণ থেকে একবার বের হলে আবার প্রবেশের জন্য নতুন টিকিট নিতে হবে। সেজন্য আমরা বাইরে না গিয়ে এখানেই বিশ্রাম নিচ্ছি এবং বাসা থেকে আনা খাবার খাচ্ছি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।