মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতের কারণে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় দর্শনার্থীদের সমাগম ছিলো অল্পসংখ্যক। তবে সন্ধ্যার পর থেকে দর্শনার্থীদের পদচারণায় প্রাণ ফিরে পায় মেলা প্রাঙ্গণ।
রোববার মেলার ১৬তম দিন সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত প্রায় দর্শনার্থী শূন্য ছিলো মেলা প্রাঙ্গণ। বিকাল ৫টার পর থেকে দর্শনার্থীদের সমাগম বাড়তে থাকে। রাত সাড়ে ৮টার দিকেও দলবেঁধে দর্শনার্থীদের মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
দর্শনার্থীদের সমাগমে বিক্রির পরিমাণও কিছুটা বাড়ে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর। তবে অন্যদিনের তুলনায় বিক্রয়ের পরিমাণ অনেক কম বলে জানান বিক্রেতারা।
সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণে ছেলে-মেয়ে নিয়ে আসা মিরপুরের আফরোজা বেগম বলেন, সকালে সাইমন (আফরোজার স্বামী) বিশ্ব ইজতেমায় গিয়েছিলো। আর টিম্পল ও সাইমা (দুই সন্তান) স্কুলে ছিলো। যে কারণে সকালে আসা হয়নি। তাছাড়া ঘরের কাজও ছিলো। রাত ৯টার দিকে বাসায় ফিরবো। এর আগে ছেলে-মেয়েদের জন্য কিছু পোশাক কিনবো।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইরান বোরকা হাউজ থেকে বোরকা কিনে ফেরার পথে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় ধানমন্ডির বাসিন্দা আমিনুল ইসলামের সঙ্গে। আমিনুল বলেন, সকালে আখেরি মোনাজাত ধরতে ইজতেমায় গিয়েছিলাম। ইজতেমা থেকে ফেরার পথে মেলায় এসেছি। পরিবারের সদস্যদের জন্য দুইটি বোরকা কিনেছি।
এদিকে বিক্রয়ের পরিমাণ কম হলেও সন্ধ্যার পর থেকে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসে মেলায় অংশগ্রহণ করা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। বিক্রয় কম হলেও হাতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায়নি বিক্রেতাদের। ইজতেমার কারণে ক্রেতা দর্শনার্থীর সংখ্যা কম হবে এটাকে স্বাভাবিক ধরে নিচ্ছেন তারা।
ভারতীয় প্যাভিলিয়নের বিক্রয় প্রতিনিধি প্রদীপ কুমার বলেন, আজ বিক্রির পরিমাণ একেবারেই কম। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিক্রি হয়নি বললেই চলে। সন্ধ্যার পর বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। ইজতেমার কারণে আজ বিক্রয় কম হবে আমরা আগেই অনুমান করেছিলাম। তাই দুজন কর্মীকে আজ ছুটিও দেওয়া হয়েছে।
থাই প্যাভিলিয়নের বিক্রয় প্রতিনিধি আসরাফ বলেন, সন্ধ্যা থেকে মোটামুটি ভালো বিক্রি হচ্ছে। তবে যারা আসছেন তাদের মধ্যে ক্রেতার থেকে দর্শনার্থীই বেশি।
শুক্রবার ও শনিবার বিক্রির পরিমাণ খুব ভালো ছিলো বলে জানান আসরাফ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৪