মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় শতরঞ্জি কারু পণ্য রংপুর লিমিটেডের প্যাভিলিয়নে চলছে ছাড়ের ছড়াছড়ি। দেশীয় পণ্যের এ প্যাভিলিয়নে সর্বোচ্চ ২টি কটন পাপস কিনলে সঙ্গে ৩টি ফ্রি দেওয়া হচ্ছে।
জেনারেল প্যাভিলিয়ন নম্বর-৯ শতরঞ্জিতে বিভিন্ন সাইজ, রং ও বিভিন্ন দামের পাপস কিনতে পারবেন ক্রেতারা। এখানে পাওয়া যাবে মোট ৩০টি পণ্য। এর মধ্যে সর্বোচ্চ স্যাগি কার্পেট ১৩ হাজার ৮৮০ টাকায় পাওয়া যাবে। যার মূল্যের ওপর ২৫ শতাংশ ছাড়া দেওয়া হচ্ছে। আর সর্বনিম্ন কটন পাপস দু‘টি কিনলে ৩টি ফ্রি দেওয়া হচ্ছে।
এমন ছাড়ে বেশ চমকিত দর্শনার্থীরা। এ প্যাভিলিয়নে এসে বেশ উপভোগ করছেন বলেই জানালেন অনেকে। অনেকে কম মূল্যে পাপস পেয়ে ৩-৪টি করে প্যাকেজ কিনছেন।
শতরঞ্জি প্যাভিলিয়নে যেসব পণ্যগুলোর ওপর ছাড় দেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে প্রতি পিস ১০০ (ছোট) ও ১৪০ (বড়) টাকা মূল্যের কটন পাপসের প্রতি আগ্রহ বেশি দর্শনার্থীদের। এ প্যাকেজে ২টি পাপস কিনলে সঙ্গে ৩টি ফ্রি দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ ২০০ টাকা (ছোট) ও ২৮০ টাকায় (বড়) ক্রেতারা মোট ৫টি পাপস নিতে পারছেন।
এছাড়া, শতরঞ্জির প্যাভিলিয়নে বিছানার চাদর ও পর্দা এবং বিছানা কাভারে সর্বনিম্ন ১০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্য থেকে ক্রেতারা বিছানার চাদর ৩শ’ থেকে দুই হাজার ১শ’ টাকায়, পর্দা ২২৫ থেকে দুই হাজার ২শ’ এবং বিছানার কাভার ৯শ’ থেকে ৪ হাজার ৪শ’ টাকায় কিনতে পারছেন।
তবে, মেলার বাইরে এসব পণ্য কেনায় কোনো রকম ছাড় দেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে প্যাভিলিয়নের বিক্রয় কর্মী তোফায়েল বাংলানিউজকে বলেন, ছাড় দেওয়ার কারণে আমরা ক্রেতাদের কাছ থেকে অনেক সাড়া পাচ্ছি। তাছাড়া প্রতিদিনের বিক্রিও অনেক বেশি।
কোম্পানির স্টক বেড়ে যাওয়ার কারণে কর্তৃপক্ষ মেলায় এ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাইরে থেকে এ ধরনের শতরঞ্জি কিনতে পিসপ্রতি ১৪০ টাকা পরিশোধ করতে হবে বলেও জানান তিনি।
অর্থাৎ মেলা থেকে এ অফার গ্রহণ করলে প্রতি পিস শতরঞ্জির মূল্য পড়বে মাত্র ৬০ টাকা।
প্যাভিলিয়নের অন্য বিক্রয়কর্মী হেলাল উদ্দিন বলেন, সাধারণত বাইরের চেয়ে মেলায় অর্ধেকেরও কম মূল্যে এসব পণ্য পেয়ে ক্রেতারা প্রতিদিন আমাদের প্যাভিলিয়নে ভিড় জমান। অনেক ক্রেতা আমাদের সবক‘টি প্যাকেজ কিনছেন।
এত কম মূল্যে শতরঞ্জি কিনতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ক্রেতারা। পল্টন থেকে আসা দর্শনার্থী বাবলি রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এখান থেকে শতরঞ্জির মোট তিনটি প্যাকেট কিনেছি। বাইরের চেয়ে অত্যন্ত কমমূল্যে পাচ্ছি বলে মোট ১৫টি পাপস কিনেছি।
শতরঞ্জি প্যাভিলিয়নের ইনচার্জ আশিকুর রহমান রুমেল বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় দর্শক-ক্রেতাদের কাছ থেকে আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। তাছাড়া, আমাদের পণ্য প্রদর্শনে আমরা সফল।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের মোট ৩৬টি দেশে আমরা পণ্য রপ্তানি করি। বাংলাদেশ থেকে যে হস্ত শিল্প রপ্তানি হয় তার ৬০ শতাংশ শতরঞ্জি থেকে করা হয়।
** দেশে প্রযুক্তির নতুন সংযোজন ‘আই-বোর্ড’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৪