ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাণিজ্যমেলা

মেলায় দেদারছে চলছে চাঁদাবাজি

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৪
মেলায় দেদারছে চলছে চাঁদাবাজি

মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার শেষ মুহূর্তে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছেন প্রভাবশালীরা। চাঁদা না পেয়ে স্টল থেকে দামি দামি পণ্য জোর করে নিয়ে যাচ্ছেন এসব চাঁদাবাজরা।

বিশেষ করে গত কয়েকদিন ধরে পুলিশের সহায়তায় রাতে এ চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্টল মালিকদের।
 
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, স্থানীয় সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা ধারাবাহিকভাবে এসব চাঁদাবাজি করছেন। তবে মেলার প্রথম দিকে এ হার কম থাকলেও শেষ পর্যায়ে চাঁদাবাজি বেড়েছে।
 
মূলত স্টল মালিক ও কর্মচারীরা জীবনের ভয়ে মেলা কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করতে পারছেন না। এমনকি চাঁদা নেওয়ার কথা কাউকে বললে মারধর করা হবে এবং মেলা থেকে উচ্ছেদ করারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
 
মেলার কয়েকটি স্টল মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আয়োজক প্রতিষ্ঠান রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) কর্মকর্তা ও পুলিশের যোগসাজশে এ চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর কয়েকজন এসে চাঁদা দাবি করেন।
 
মালিকদের দাবি, কয়েকদিন পরপর এসব চাঁদাবাজরা এসে টাকা দাবি করে। টাকা না দিতে পারলে পরের দিন এসে দোকানের ভালো ভালো পণ্য নিয়ে যায়। বিল চাইলে বলে লিখে রাখ, পরে দেব। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কোনো বিল পাওয়া যায় নি।
 
কারা এসব চাঁদাবাজি করছে জানতে চাইলে স্টল মালিকরা বলেন, আমরা তাদের চিনি না। তবে তারা গেটে সব সময় থাকে। চাঁদা নেওয়ার সময় সঙ্গে পুলিশ সদস্যও নিয়ে আসে। এসময় তাদের সঙ্গে সাধারণ পোশাকে থাকা একজনকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে উনি পুলিশের লোক।
 
এ বিষয়ে মেলা প্রাঙ্গণে দায়িত্বরত উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়টি সত্য নয়। আর পুলিশ সদস্যরা জনগণের কাছ থেকে চাঁদা নিতে পারে না। তবে যদি কেউ নির্দিষ্ট করে কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করে তবে আমি ব্যবস্থা নেব।
 
ইপিবি’র কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে কয়েকজন স্টল মালিক বলেন, আমরা সরাসরি ইপিরি’র কাছ থেকে স্টল বরাদ্দ নেইনি। তৃতীয় ব্যক্তির হাত ধরে আমরা স্টল নিয়েছি পণ্যের প্রচারের জন্য। তাই আমরা সরাসরি অভিযোগ করতে পারি না।
 
তারা আরও বলেন, রাতে আমাদের স্টলগুলো থাকে খুবই অরক্ষিত। কারণ এখানের তালাবদ্ধ করে রাখার কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে অভিযোগ করলে পরের দিন সকালে এস দোকানে কোনো পণ্য পাওয়া যাবে না।
 
এ বিষয়ে ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান সুভাশীষ বসু বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।