ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাণিজ্যমেলা

শেষ ছুটির দিনে মুখর বাণিজ্যমেলা

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৪
শেষ ছুটির দিনে মুখর বাণিজ্যমেলা

মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: শেষ ছুটির দিনে দর্শনার্থী-ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা।

শনিবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই মেলা প্রাঙ্গণে আসতে থাকেন দর্শনার্থী ও ক্রেতারা।

সন্ধ্যার দিকে দর্শনার্থীদের নামা ঢলে তা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। বেড়ে যায় প্যাভিলিয়ন ও স্টলের কর্মকর্তাদের কর্মচাঞ্চল্য। কোনো কোনো স্টলের কর্মকর্তাদের এক মিনিট বিশ্রাম নেওয়ারও সময় ছিলো না বিকেল থেকে।
 
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে প্রথম দিকের মতোই উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে নারী সামগ্রী ও শিশু খেলনার দোকানগুলোতে। ইলেকট্রনিক পণ্য, রান্নার সামগ্রী ও পোশাকের দোকানগুলোতেও এদিন চোখে পড়ার মতো দর্শনার্থী-ক্রেতা দেখা গেছে। তবে দেশি স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলোর মতো জমজমাট ভিড় দেখা যায়নি বিদেশি প্যভিলিয়নগুলোতে।
 
মেলায় পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা মোমিনুর রহমান বলেন, বাচ্চারা প্রথম থেকেই মেলার আসার আবদার করছে। তাদের আবদার পূরণ করতে এবং বাসার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে মেলায় এসেছি।
 
তিনি বলেন, বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করি। বেতন পেয়েছি ৫ তারিখে। বেতনের টাকার একটি অংশ থেকেই মেলার ব্যয় মেটাবো। ছোট বাচ্চার খেলনা ও একটি ড্রেস কিনেছি। বড় ছেলের জন্য কিনেছি দু’টি প্যান্ট। আর বাসার জন্য একটি রাইসকুকার, মাইক্রো ওভেন ও একটি ব্লেন্ডার কিনেছি।
 
মিরপুর থেকে আসা সন্তোষ কুমার বলেন, মেলায় চার দিন এলাম। আগের তিন দিন কিছু কিনি নি, শুধু দাম শুনে গেছি। আজ দু’টি প্যান্ট ও দু’টি টিশার্ট কিনেছি। দাম আগের দিন যা শুনেছি তার থেকে কম নিয়েছে।
 
এদিকে টানা দু’দিনের (শুক্রবার ও শনিবার) বিক্রিতে বেশ খুশি স্টলের মালিকরাও। তারপরও বরাবরের মতো বিক্রির সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে হতাশার কথাই শোনা গেলো তাদের মুখে। শোনা গেলো বাকি দু’দিনের বিক্রি নিয়ে অনিশ্চয়তার কথাও।
 
ব্লেজার বিক্রির স্টল নোভার বিক্রয়কর্মী বাবু বলেন, শুক্রবার ও শনিবার বিক্রি ভালো। আজ খুব ভালো বিক্রি হয়েছে। তারপরও লোকসানে থাকতে হবে। কারণ মেলার ২৮ দিনের সার্বিক বিক্রি ভালো না। ছুটির দিন ছাড়া অন্য দিনগুলোতে বিক্রি খুব একটা হয়নি।
 
কল্লোল থাই প্রেসিডেন্ট প্যাভিলিয়নের বিক্রয়কর্মী তৌহিদুল ইসলামের কণ্ঠে হতাশার সুর একটু বেশিই শোনা গেলো। তার কথা মতে, এবারের বাণিজ্যমেলায় অংশ নিয়ে মালিককে বড় অংকের লোকসান গুণতে হবে।

এর আগে বাণিজ্যমেলায় এমন খারাপ পরিস্থিতি যায় নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
 
শনিবার বিক্রি কিছুটা ভালো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেলার এখনো দু’দিন বাকি আছে। এ দু’দিন বিক্রি কেমন হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে।
 
তবে বিক্রিবাট্টা নিয়ে বেশ সন্তোষ প্রকাশ করেন শিশুদের খেলনা ও নারীদের ব্যবহার্য সামগ্রী বিক্রির প্রতিষ্ঠান আরাফাত এন্টারপ্রাইজের বিক্রয় প্রতিনিধি মো. কবীর। তিনি বলেন,  প্রথম থেকেই আমাদের বিক্রি বেশ ভালো। আর ছুটির দিনগুলোতে তো এক মিনিট বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পাই নি।
 
তিনি জানান, শিশুদের খেলনা ও নারীদের সাজগোজের সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে চুড়ি ও চুলের খোঁপা, নেলপালিশ, কানের দুল বিক্রি হচ্ছে বেশি। পাশাপাশি শিশুদের খেলনার মধ্যে পিস্তল, ডেমিন কার্ড, রিমোট কন্ট্রোল হেলিকপ্টার ও রেসিং কার বেশি বিক্রি হচ্ছে।
 
খুশি স্বর্ণলতা এন্টারপ্রাইজের বিক্রেতা মো. মহসিনও। তার মতে, ছুটির দিনগুলোতেই যে বিক্রি হয়েছে তা দিয়েই প্রায় খরচের টাকা উঠে যাবে।
 

 ** প্রাণের ২৩ প্যাকেজে নগদ ছাড়

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।