সে হিসেবে উদ্বোধনের আর মাত্র ১৩ দিন বাকি থাকলেও মেলার সব প্রস্তুতি ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আর এ কারণেই যত ব্যস্ততা।
জানা গেছে, এবারের মেলায় ১৪ ক্যাটাগরিতে দেশ-বিদেশের ৫২০টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ পেয়েছে।
এছাড়া মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে দৃষ্টিনন্দন ১৪টি বাগান, তিনটি রেস্তোরাঁ, ইকোপার্ক, শিশুপার্ক, পর্যাপ্ত টয়লেট, এটিএম বুথ, মসজিদ, প্রতিবন্ধীদের জন্য অটিজম সেন্টার, মাদার কেয়ার সেন্টার, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ধরনের স্টল।
নির্ধারিত সময়ের আগেই এসব স্টল ও স্থাপনা প্রস্তুত করতে দিনে রাতে সমান তালে এগিয়ে চলছে মেলা মাঠের কর্মযজ্ঞ।
রোববার দিনগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁও শেরে-বাংলা নগরস্থ অস্থায়ী মেলা প্রাঙ্গণ সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কেউ ব্যস্ত স্টলের কাঠামো নির্মাণ বা ডেকোরেশনের কাজে আবার কেউ ইট বালু আনছেন প্লট ভরাট করতে।
কর্মরত এসব শ্রমিক দলের একটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঠিকাদার এইচ এম মামুন। মামুন মেলার ছোট বড়, দেশি-বিদেশি মিলে ৩১ টি স্টলের ডেকোরেশন, পেইন্ট এবং লাইটিং করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। আর এ কাজ তাকে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে বুঝিয়ে দিতে হবে। এজন্য সকাল ৯টা থেকে শুরু করে রাতভর কাজ করতে হচ্ছে তার দলকে।
মামুন বাংলানিউজকে বলেন, আমি প্রতিবছর চট্টগ্রাম এবং ঢাকার মেলার মাঠে কাজ করি। এই কাজ ১০০ -তে ১০০ ঠিক থাকতে হয়। ৯৯ হলেও চলে না। কারণ দর্শনার্থীদের চোখে কোনো একটা বিষয় খারাপ লাগলে সেটা মালিকের প্রেসটিজের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য খাটনি একটু বেশি করতে হয়।
পাশের স্টলেই কাঠের দেয়াল ও ফার্নিচার নির্মাণের কাজ করছেন ৮ সদস্যের একটি কাঠমিস্ত্রীর দল। ওই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ‘নিউ ফার্নিচারে’ লাইন চিফ মাসুদ রানা।
মাসুদ রানা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা দু’টা স্টল ডেকোরেশনের কাজ নিয়েছি। ২৫ তারিখের মধ্যে কাজ বুঝিয়ে দিতে হবে। এজন্য একটু বেশি সময় কাজ করতে হচ্ছে। প্রতিদিন সকালে ৯টায় কাজ ধরি আর রাত ২টা ৩টা ৪টা পর্যন্তও কাজ করি।
আবার দিনের বেলা অবকাঠামো নির্মাণ ও ডেকোরেশনের কাজ করা গেলেও প্লট ভরাট করার কাজ কেবল রাতেই করতে হচ্ছে শ্রমিকদের। দিনের বেলা শহরের মধ্যে ট্রাক ঢুকতে না দেয়ার কারণে তাদের রাতভর কাজ করতে হচ্ছে।
ঠিকাদার মোহাম্মদ বাচ্চু বাংলানিউজকে বলেন, ১১টি স্টলের ইট বালু আমাকে বুঝিয়ে দিতে হবে। কিন্তু শহরের মধ্যে দিনের বেলা ট্রাক ঢোকা নিষেধ। এজন্য প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। এজন্য মেলার মাঠ দিন রাতে সবসময় জমজমাট থাকে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এবারের মেলাকে ভিন্ন আঙ্গিকে সাজাতে মেলায় ফিশ ও বার্ড অ্যাকুরিয়াম প্রদর্শন করা হবে, শিশুদের জন্য থাকবে পার্ক, গেমিং জোন ও খেলার উপকরণ। তবে সবচেয়ে আকর্ষণ থাকবে মূল ফটকে। এবারের মেলার মূল ফটকে তুলে ধরা হবে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭
এসআইজে/এসএইচ