শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাজশাহী নকশি ঘরে গিয়ে দেখা যায় নারীদের সুনিপুণ হাতে তৈরি এসব নকশি কাঁথা আকর্ষণে ভিড় করছেন ক্রেতারা। রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী নকশি কাঁথা ছাড়াও যশোর, কুষ্টিয়া, মাগুরা ও জামালপুর থেকে আনা কাঁথা রয়েছে এ স্টলে।
এখানে এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে চার হাজার টাকা মূল্যের নকশি কাঁথা রয়েছে বলে জানান রাজশাহী নকশি ঘরের সত্বাধিকারী পারভীন আক্তার। কাঁথা ছাড়াও এ স্টলে রয়েছে কুশন কাভার, বেডশিট ও হাতের কাজের থ্রি-পিস।
২০১৫ সালে এসএমই ফাউন্ডেশনের বর্ষসেরা নারী মাইক্রো উদ্যোক্তা পারভীন আক্তার জানান, নারীদের হাতের নৈপূণ্যে এসব কাঁথায় ফুটে উঠেছে বিচিত্র রংয়ের নকশা, বর্ণিল তরঙ্গ ও গল্প-কাহিনী। প্রিয়জনকে উপহার দিতে নকশি কাঁথা খুবই আদর্শ।
এর নাম নকশি কাঁথা কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাতলা কাপড় স্তরে স্তরে সাজিয়ে সেলাই করে এ কাঁথা তৈরি হয়। কাপড় বোনার সুতা দিয়ে এতে নকশা করা হয়। হাতের নৈপূণ্যে এতে বিচিত্র রংয়ের নকশা, তরঙ্গ ও গল্পের প্রকাশ ঘটে। এজন্যেই এর নাম নকশি কাঁথা।
জানা যায়, মূলত গ্রামের নারীরাই অবসরে নকশি কাঁথা সেলাই করেন। অনেক সময় এক একটি কাঁথা সেলাই করতে এক বছর কিংবা তার চেয়েও বেশি সময় লেগে যায়। তাছাড়া আগের দিনে নতুন জামাই বা নাত-বউকে উপহার দেওয়ার জন্য বয়স্ক নারীরা নকশি কাঁথা সেলাই করতেন।
আজকাল সেই নকশী কাঁথা বাণিজ্যিকভাবে বিক্রয়ের জন্য তৈরি হচ্ছে। ক্রেতাদের কাছেও এর বেশ কদর রয়েছে বলে জানালেন পারভীন আক্তার। বাংলাদেশ ছাড়াও অন্যান্য দেশের মানুষ, বিশেষ করে প্রবাসীরা দেশীয় হাতে তৈরি পণ্যের প্রতি বর্তমানে বেশ আগ্রহী।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৭
এমএইচ/এনএইচটি/