মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব স্টলেই চলছে শেষ মুহূর্তের ছাড়। এতে প্রতিটি স্টলেই ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়।
কেউ দিচ্ছে শেষ অফার, কেউ ধামাকা অফার, কেউ গোল্ডেন অফার, আখেরি অফার, আবার কেউ দিচ্ছে কাড়াকাড়ি অফার।
মোহাম্মদপুরের আব্দুল মান্নান বলেন, ৭/৮বছর যাবৎ দেখছি মেলার শেষ দিকে প্রায় সব পণ্যেই ছাড় দেওয়া হয়। তাই শেষ দিকে কিছু কেনাকাটা করলাম।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মেলার প্রচার কেন্দ্র থেকে মাইকে বিভিন্ন স্টলের অফার প্রচার করা হচ্ছে।
বিদেশি প্যাভিলিয়ন-৫ এর ভেতরে ভারতের জম্মু কাশ্মীর থেকে আসা বিক্রেতা জামিল আহমেদ বলেন, মালামাল যা এনেছিলাম প্রায়ই বিক্রি হয়ে গেছে। যা আছে একটু কমে দিয়ে দিচ্ছি।
এই দোকানে ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকায় বেড কভার, ১২শ’ থেকে ২ হাজারে কাপ্তান পাওয়া যাচ্ছে। বিদেশি প্যাভিলিয়ন-৬ এর ভেতরে ইরানি পণ্য সম্ভারে সাজানো হরেক রকমের মসলা। এখানে জিরা কেজি ৫শ’ টাকা, এলাচ ২ হাজার টাকা, দারুচিনি ৭শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এসব মসলাও প্রথম দিকে বেশি দরে বিক্রি করা হয়েছে।
১৭৩ নম্বর স্টলের ইনচার্জ বাবুল বলেন, প্রথম দিকের চেয়ে এখন সব পণ্যে শতকরা ২০ ভাগ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ঢাকাই জামদানি ৩ হাজার থেকে ৭০ হাজার পর্যন্ত আছে। টাঙ্গাইল শাড়ি ও অন্য সব শাড়িতেও শেষ সময়ে বেশি ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
রূপ টেক্সটাইল দিচ্ছে কাড়াকাড়ি অফার। এখানে ৭৫০ টাকার থ্রি পিস দেওয়া হচ্ছে ৬৫০ টাকায়, আবার একসঙ্গে ৩টা কিনলে ১৫শ’ টাকায় দেওয়া হচ্ছে।
আপন টেক্সটাইলের ম্যানেজার মনিরুজ্জামান বলেন, আর মাত্র ৫দিন বাকি। তাই থ্রি পিসে অফার দিচ্ছি। ৬শ’ টাকা দামের ২ সেট থ্রি পিস কিনলে ১ সেট ফ্রি দিচ্ছি।
টিএস ফ্যাশন স্টলে ব্লেজারে শেষ সময়ে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। প্রথম দিকে যে ব্লেজার ২২শ’ টাকা ছিল, তা এখন দিচ্ছে ১ হাজার ৬৫০ টাকায়।
বড় প্যাভিলিয়নগুলোতেও শেষ মুহূর্তের ছাড় নিয়ে টাঙানো হয়েছে ব্যানার, ফেস্টুন।
গত ১ জানুয়ারি শুরু হওয়া ২৩ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ১৮/১৯ দিন শৈত্যপ্রবাহ থাকায় ক্রেতা দর্শক কম আসে। এজন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধে চারদিন বাড়ানো হয়। ফলে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে এবারের মেলা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৮
এমএইচ/আরআর