শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মেলা ঘুরে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে মেলায় বিদায়ের সুর বেজে উঠেছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিক জানালেন নতুন করে তারা কোন পণ্য মেলার ঢুকাচ্ছেন না।
মেলার স্টল দেওয়া ফেয়ারি এঞ্জেল ফ্যাশনস হাউজের সিইও সানজিদা খানম বাংলানিউজকে জানালেন, শেষ মুহুর্তের ঝামেলা এড়াতে যা পারছেন বেঁচে মালামাল কমাচ্ছেন। নতুন কোন মালামাল তিনি মেলায় ঢুকাচ্ছেন না।
মেলার সময় বাড়ানোয় কয়েকটি প্যাভিলিয়ন ইতোমধ্যেই তাদের প্যাভিলিয়ন বন্ধ করে দিয়েছেন। বিএনও লুব্রিকেন্ট এর প্যাভিলিয়ন বন্ধ পাওয়া গেলে মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে মেলায় ডিউটি করা এক কর্মকর্তাকে ফোন দিলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানান, মেলার সময় বাড়ানোয় বাড়তি চারদিনের জন্য মেলা কর্তৃপক্ষকে অতিরিক্ত চার লাখ টাকা দিতে হবে। অন্যান্য খরচতো আছেই। তাই বিএনও কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত সময় মেলা না করে তা বন্ধ করে দিয়েছেন। লাকি কুপনের ড্র' ও ৩১ জানুয়ারি রাতেই সেরে ফেলেছেন।
অন্যান্য শনিবারের চেয়ে মেলায় জনসমাগম কিছুটা কম। শেষ মুহুর্তে মেলায় ভ্রাম্যমাণ হকারের সংখ্যা অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। নিম্নমানের পণ্য তারা হেঁকে ডেকে বিক্রির চেষ্টা করছেন। ছোটদের খেলনা, পিঠা তৈরির ডাইস, আইসক্রিম, রেডিমেট তৈরি পোশাক বিক্রির হকারের সংখ্যা বেড়েছে। সাড়ে ১২ লাখ স্কয়ার ফুট এলাকা জুড়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের বাণিজ্যমেলা। এটি মেলার ২৩তম আসর।
এবারের বাণিজ্য মেলায় ছোট বড় মিলিয়ে মোট ৫৮৯টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৭টি দেশের মোট ৪৩টি প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়ন ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৮
এমআই/এএটি