এনিয়ে গত ১৩ বছর ধরে দেশের সর্ববৃহৎ এ মেলায় সবচেয়ে বেশি ভ্যাট দেওয়ার স্বীকৃতি পেয়ে আসছে ওয়ালটন। শ্রেষ্ঠ ভ্যাটদাতার পাশাপাশি এবারের বাণিজ্যমেলায় প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ক্যাটাগরিতেও দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে ওয়ালটন।
আয়োজক সংস্থা রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে মেলার সমাপণী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের পক্ষে প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় পুরস্কার গ্রহণ করেন কোম্পানিটির নির্বাহী পরিচালক এসএম জাহিদ হাসান। তার হাতে পুরস্কারের ক্রেস্ট তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
অন্যদিকে শ্রেষ্ঠ ভ্যাটদাতার পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু।
এবারের মেলায় ওয়ালটন সর্বমোট ৩৮ লাখ ১৯ হাজার ২৩০ টাকা ভ্যাট দেয়। একই ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার লাভ অর্জন করে যথাক্রমে সনি র্যাংগস ও হাতিল ফার্নিচার।
গত বছরের মেলাতেও ৩৬ লাখ ৩ হাজার ৮৯৯ টাকা ভ্যাট দিয়ে শ্রেষ্ঠ ভ্যাটদাতার স্বীকৃতি পেয়েছিল ওয়ালটন । সেবছর সেরা প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ক্যাটাগরীতেও প্রথম পুরস্কার লাভ করে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক (পিআর এ্যান্ড মিডিয়া) হুমায়ুন কবীর বলেন, ওয়ালটন যে দেশের ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ের ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে, এটি তারই প্রমাণ। যে কারণে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ওয়ালটন পণ্য, সবচেয়ে বেশি ভ্যাট দিচ্ছে ওয়ালটন। এই প্রাপ্তি ওয়ালটনকে আগামী দিনে আরো নতুন নতুন প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে অনুপ্রাণিত করবে। মেলায় শীর্ষ ভ্যাটদাতাকারীর পাশাপাশি সেরা প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরস্কারের মাধ্যমে সম্মানিত করায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক এসএম জাহিদ হাসান।
তিনি আরো বলেন, ওয়ালটনের এই প্রাপ্তির বড় অংশীদার হচ্ছে মেলায় আগত ক্রেতারা।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানান, এবারের বাণিজ্যমেলায় রফতানি আদেশ পাওয়া গেছে ১৯.৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১৬০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আর মেলায় পণ্য বিক্রি হয়েছে ৮৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, অতীতের যেকোনো বারের চেয়ে এবারের মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল বেশি। সার্বিকভাবে, এবারের মেলা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি হচ্ছে রফতানিমুখী। আর রফতানি বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বাণিজ্য মেলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পণ্যের পাশাপাশি সেবা রফতানির উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, অচিরেই বিশ্বে সেবা রফতানিতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অবস্থানে পৌঁছবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৮
এএটি