প্রতিবারের ধারাবাহিকতায় এবারও মেলার গেট সাজানো হবে সরকারের উন্নয়ন চিত্র দিয়ে। এবার মূলত মেট্রোরেলের আদলে নির্মিত হচ্ছে মেলার প্রধান ফটক।
অনেক বেশি বিদেশি ক্রেতা মেলায় যাতে অংশগ্রহণ করতে পারে সে বিষয়ে নেওয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ। এরই অংশ হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দূতাবাসে চিঠিও দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানান গেছে।
এছাড়া মেলায় বিদেশি ক্রেতা টানতে এবং করণীয় ঠিক করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনা চাওয়া হচ্ছে। বিদেশি মিডিয়ায় বিজ্ঞাপণের পাশাপাশি ডিজিটাল প্লাটফর্মে ক্যাম্পেইনও চালানো হবে।
৫০ বাই ৫৯ ফিট মেগা প্যাভেলিয়নে বিক্রি করা পণ্যের তালিকা নিয়ে ক্যাম্পেইন চালানো হবে। যাতে করে এসব বাংলাদেশি পণ্য দেখে বাণিজ্যমেলায় ছুটে আসেন ক্রেতারা।
মেলা প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মফিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের বাংলাদেশে হাজারোও মানসম্মত পণ্য তৈরি হচ্ছে। কাপড়, চামড়াজাত পণ্য থেকে ফার্নিচার পর্যন্ত। এসব পণ্যের প্রচার করবো। বাণিজ্য মেলায় বেশি বেশি বিদেশি ক্রেতা অংশ নেবেন এটাই প্রত্যাশা। এর জন্য যা কিছু করণীয় বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে সব করবো।
সূত্র জানায়, প্রতিবারের মতো এবারের মেলায় নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মেলায় থাকবে ফায়ার ইউনিটি ও মেডিকেল টিম। বিভিন্ন স্থানে পাঁচটি বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা থাকবে। মেলার ঠিক মাঝখানে বসার জন্য কংক্রিটের আসন তৈরি করা হবে। নানা স্থানে থাকবে সিরামিকের বেঞ্চ। মেলায় ধূলো বড় সমস্যা। ধূলো কমাতে পানি ছিটানো হবে।
যদিও মেলাটি শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ জানুয়ারি থেকে। কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে এবার ৯ জানুয়ারি মেলাটির উদ্বোধন করা হবে।
এদিকে, শেষ সময়ে এসে মাত্র শুরু হয়েছে মেলার দুই প্রান্তে সুন্দরবন ইকোপার্ক নির্মাণ কাজ। মেলায় এবার মা ও শিশু কেন্দ্র, শিশুপার্ক, ই-পার্ক, এটিএম বুথ থাকবে। তবে সময় এগিয়ে এলেও এসব কাজ চোখে পড়েনি এখনও।
এবারের মেলায় স্থান পাবে সংরক্ষিত নারী স্টল ২০টি, প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ৬০টি, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন ৩৮টি, সাধারণ প্যাভিলিয়ন ১৮, সাধারণ মিনি প্যাভিলিয়িন ২৯টি, প্রিমিয়ার স্টল ৬৭টি, রেস্টুরেন্ট তিনটি, সংরক্ষিত প্যাভিলিয়ন নয়টি, সংরক্ষিত মিনি প্যাভিলিয়ন ছয়টি ও বিদেশি প্যাভিলিয়ন ২৬টি। আর এসবের কাজ অনেকাংশে এগিয়ে গেছে।
শুরু হয়েছে ২০১টি সাধারণ স্টল ও ২২টি ফুড স্টলের কাজ। এখানে রেডিমেড গার্মেন্টস, হোমটেক্স, ফেব্রিকস পণ্য, হস্তশিল্পজাত, পাটজাত, গৃহস্থালি ও উপহারসামগ্রী, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, তৈজসপত্র, সিরামিক, প্লাস্টিক, পলিমার পণ্য, কসমেটিকস হারবাল ও প্রসাধনী সামগ্রী, খাদ্য ও খাদ্যজাত পণ্য, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, ইমিটেশন ও জুয়েলারি এবং নির্মাণসামগ্রী ও ফার্নিচার এসব স্টল থাকবে।
দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের স্টল ও প্যাভিলিয়ন মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৫০০ প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে বাণিজ্যমেলায়। এবার নতুন করে চার থেকে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। তবে আমাদের দেশীয় প্যাভিলিয়ন মাত্র ২৬টি। তাই এবার একক দেশগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। দেশগুলো হলো- ভারত, পাকিস্তান, চীন, ব্রিটেন, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ভুটান, নেপাল, মরিশাস, ভিয়েতনাম, মালদ্বীপ, রাশিয়া, আমেরিকা, জার্মানি, সোয়াজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, হংকংসহ বিভিন্ন দেশ।
এক মাসব্যাসী এ আন্তর্জাতিক মেলা চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
এমআইএস/এসএইচ