প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। এবার মেলার গেট নির্মাণ করা হবে মেট্রোরেলের আদলে।
মেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ জানুয়ারি থেকে। কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে এবার ৯ জানুয়ারি মেলাটির উদ্বোধন করা হবে।
মেলায় প্রাপ্তবয়স্কদের প্রবেশের টিকিটের মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর অপ্রাপ্তবয়স্কদের টিকিটের মূল্য ২০ টাকা। এবারই প্রথম মেলাতে অনলাইনে টিকিট করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় সার্বক্ষণিক নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। নিরাপত্তার স্বার্থে মেলাস্থলে সব ধরনের হকার ও ভিক্ষুক নিষিদ্ধ থাকবে। ফুডকোর্টের অনিয়ম রুখতে বাধ্যতামূলক রাখতে হবে মূল্যতালিকা। এছাড়া মেলায় থাকবে ফায়ার ইউনিটি ও মেডিকেল টিম। বিভিন্ন স্থানে পাঁচটি বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা থাকবে। ধূলো কমাতে পানি ছিটানো হবে। মেলার পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইভটিজিং রোধে মেলা প্রাঙ্গণে পুলিশের বিশেষ টিম দায়িত্ব পালন করবে।
ইপিবি সূত্র জানায়, মেলায় সবমিলিয়ে ৫৫০টি স্টল থাকবে। এর মধ্যে সংরক্ষিত নারী স্টল থাকবে ২০টি, প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ৬০টি, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন ৩৮টি, সাধারণ প্যাভিলিয়ন ১৮টি, সাধারণ মিনি প্যাভিলিয়ন ২৯টি, প্রিমিয়ার স্টল ৬৭টি, রেস্টুরেন্ট তিনটি, সংরক্ষিত প্যাভিলিয়ন নয়টি, সংরক্ষিত মিনি প্যাভিলিয়ন ছয়টি, বিদেশি প্যাভিলিয়ন ২৬টি, সংরক্ষিত মিনি প্যাভিলিয়ন নয়টি, বিদেশি প্রিমিয়ার স্টল ১৩টি, সাধারণ স্টল ২০১টি ও ফুড স্টল ২২টি। এছাড়া মেলায় বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ভোক্তা অধিদফতরের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক নজরদারি করবেন। মেলায় থাকছে মা ও শিশু কেন্দ্র, শিশুপার্ক, ই-পার্ক ও পর্যাপ্ত এটিএম বুথ। থাকছে রেডিমেড গার্মেন্টস পণ্য, হোমটেক্স, ফেব্রিকস পণ্য, হস্তশিল্প, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহস্থালি ও উপহারসামগ্রী, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। আরও থাকবে তৈজসপত্র, সিরামিক, প্লাস্টিক পলিমার পণ্য, কসমেটিকস হারবাল ও প্রসাধনী সামগ্রী। থাকবে খাদ্য ও খাদ্যজাত পণ্য, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, ইমিটেশন ও জুয়েলারি, নির্মাণ সামগ্রী ও ফার্নিচার সামগ্রী।
উল্লেখ্য, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের স্টল ও প্যাভিলিয়ন মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৫০০ প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে বাণিজ্যমেলায়। এবার নতুন করে চার থেকে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। তবে দেশীয় প্যাভিলিয়ন মাত্র ২৬টি। তাই এবার একক দেশগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। দেশগুলো হলো- ভারত, পাকিস্তান, চীন, ব্রিটেন, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ভুটান, নেপাল, মরিশাস, ভিয়েতনাম, মালদ্বীপ, রাশিয়া, আমেরিকা, জার্মানি, সোয়াজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, হংকংসহ বিভিন্ন দেশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৯
জিসিজি/আরআর