বুধবার (০৯ জানুয়ারি) বিকেলে দেশের সর্ববৃহৎ এ মেলার উদ্বোধনের পর প্রাঙ্গণ ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে, মাসব্যাপী এ মেলা ৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
মেলায় প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ৬০৫টি। এর মধ্যে রয়েছে প্যাভিলিয়ন ১১০টি, মিনি-প্যাভিলিয়ন ৮৩টি ও রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য স্টল ৪১২টি। এবার বাংলাদেশ ছাড়াও ২৫টি দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে। দেশগুলো হলো থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান
সরেজমিনে দেখা গেছে, মেলায় লোকসমাগম কম। তবে প্রথম দিনই প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন অনেকে। যাদের বেশির ভাগ তরুণ-তরুণী। আর তেমন কেনাকাটা না করলেও স্টল ঘুরে দেখেন দর্শনার্থীরা।
প্রসাধনী, ব্লেজার, ফার্ণিচার, ইলেকট্রনিক ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ অনেক ধরনের স্টল প্রস্তুত হয়েছে মেলায়। তবে খাবারের স্টলগুলো এখনও প্রস্তুত করা হয়নি। এছাড়া মেলায় ক্রেতাদের সুবিধার্থে বিভিন্ন ব্যাংকও স্টল এবং এটিএম বুথ স্থাপন করেছে।
মেলা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিবছর মেলা শুরুর দিন লোকসমাগম এমনই হয়। তবে দু’চার দিন গেলে মেলা জমে উঠবে।
নাবিস্কোর বিক্রয়কর্মী রেজওয়ান বাংলানিউজকে বলছিলেন, সপ্তাহখানেক পর মেলা জমে উঠবে। শুরুর দিকে যেসব লোকজন আসেন, তারা কেনাকাটা কম করেন। তারা দামের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন।
প্রসাধনী প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মী আতাউর বাংলানিউজকে বলেন, এখনও অনেক পণ্য আসেনি। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সকল পণ্য মেলায় চলে আসবে।
রাজধানীর নিকেতন থেকে মেলায় ঘুরতে এসেছেন তাসফিয়াহ। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আজ মূলত ঘুরতে আসা। বিভিন্ন পণ্য দেখলাম, পছন্দ করলাম। কয়েকদিন পরেই কিনবো।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৯
টিএম/টিএ