এক্ষেত্রে তরুণ-তরুণীরাই এগিয়ে। বাদ যায়নি মধ্য বয়স্করাও।
বাণিজ্যমেলায় এসে কোনোকিছু কেনাকাটা করেছেন কি না জানতে চাইলে মুন্নার সহজ উত্তর, অনেক পণ্য দেখলাম, ঘুরলাম। এখনো কেনা হয়নি, আরো কয়দিন পরই কিনবো।
শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাণিজ্যমেলার তৃতীয় দিন বিকেল থেকে মানুষের ঢল নামে। সন্ধ্যার পর তা আরও বাড়তে থাকে।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ মানুষই গেছেন সপরিবারে, নয়তো দল বেঁধে বন্ধুবান্ধব নিয়ে। কেউ ছবি বা সেলফি তুলছেন, কেউ কেউ শুধু ঘুরছেন, কেউ খাওয়া-দাওয়া করছেন। আবার অনেকে গভীর মনোযোগের সঙ্গে স্টলে স্টলে গিয়ে জিনিসপত্র খুটিয়ে দেখেছেন।
মেলার প্রথম দিকে কেনাকাটা করতে লোকজন কমই আসেন বলে জানালেন দোকানিরা। মেলার তৃতীয় দিনে লোক সমাগম হলেও সবাইকে সেলফি তুলতেই ব্যস্ত দেখা যায়। মেলায় শিশুদের জন্যও ছিল বিনোদনের বিশেষ ব্যবস্থা।
মেলায় তরুণ-তরুণীদের মতো সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করার মতো লোক চোখে পড়েছে বহু। তাদের বেশির ভাগ ছিলেন বন্ধুবান্ধব। তবে গৃহস্থালির জিনিসপত্র কেনাকাটায় মগ্ন অসংখ্য নারীকে মেলায় দেখা গেছে।
কারুপণ্য প্যাভিলিয়নে পণ্য কিনছিলেন ধানমন্ডির জান্নাতুল ফেরদৌস। বাণিজ্যমেলা থেকে পণ্য কেনার যুক্তি হিসেবে বললেন, পণ্যের সংখ্যা ও ধরন অনেক বেশি থাকায় পছন্দ করে জিনিস কেনা যায়, আবার বিভিন্ন অফার থাকে। এছাড়া দেশীয় পণ্যও বেশি পাওয়া যায়। তাই বাণিজ্যমেলা থেকে এসব পণ্য কেনেন। একমত পোষণ করলেন সঙ্গী হাসনুভা খেয়া। তিনি যোগ করলেন, মেলা উপলক্ষে কোম্পানিগুলো অনেক নতুন পণ্য বাজারে আনে। এজন্যই মেলায় আসা।
মেলায় মানুষ শুধু ঘুরতে আসছেন না, বরং কেনাবেচাও ভালো হচ্ছে জানালেন বেঙ্গলের বিক্রয় প্রতিনিধি মো. জামাল।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কেনাবেচা এখনো জমে ওঠেনি। তবে গত বছরের তুলনায় এবার কেনাবেচা ভালো জমবে বলে আশা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৯
টিএম/আরবি/