শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষের পদচারণায় মেলার মাঠ হয়ে ওঠে এক উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু। রোববার (২০ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মেলার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, দলে দলে মানুষ শুধু মেলার দিকে ছুটছেন।
প্রতি বছরই মেলায় বিভিন্ন দেশের পণ্যের সম্ভার নিয়ে বিদেশি প্যাভিলিয়নের একটা কর্নার থাকে। এবারও রয়েছে। তবে এবার বিদেশি প্যাভিলিয়নের সংখ্যা খুব বেশি নয়। থাইল্যান্ড, জাপান, ভারত, পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশের প্যাভিলিয়নে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পছন্দের তালিকায় প্রতিদিনই শীর্ষে গৃহ সামগ্রী। নারী-পুরুষ সবার হাতে দেখা যায় বিশাল ব্যাগ ভর্তি গৃহ সামগ্রী। তবে মেলায় ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পাট পণ্যের দিকে।
মন্ত্রণালয়ের অধীনে হস্তশিল্পে যেসব প্রতিষ্ঠান সদস্যভুক্ত তাদের ২৬টি স্টল এক প্যাভিলিয়নে সাজানো হয়েছে। নারীদের ছোট হ্যান্ড ব্যাগ থেকে শুরু করে বড় শপিং ব্যাগ এবং কার্পেট পাওয়া যাচ্ছে এই স্টলে।
পরিবেশবান্ধব পাট পণ্যের সম্ভারে দামেও থাকছে চামক। মাত্র ৫০ টাকা থেকে শুরু করে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত মূল্যের সামগ্রী পাওয়া যাবে এই স্টলে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য দেশি পণ্য সবার মধ্যে পরিচিত ঘটানো। পাট দিয়েও যে অনেক ধরনের ব্যবহার সামগ্রী বানানো সম্ভব সেটা এখানে না এলে বোঝা যাবে না। আমাদের এই পণ্য অনেক দেশেই রফতানি হচ্ছে। দেশেও পাটের ব্যবহার বাড়াতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই প্যাভিলিয়নের ২৫ নম্বর স্টলে রয়েছে কে টু কে ওয়্যার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার খন্দকার এমডি নোমান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রতিবছরই মেলায় অংশগ্রহণ করি। আমাদের উদ্দেশ্য পাঠকে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি ঘটানো। এখানে নানা ধরনের ব্যবহার সামগ্রী পাবেন যেটা পরিবেশবান্ধব পাশাপাশি সাশ্রয়ী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
এসএম/আরবি