অভিযোগ রয়েছে দাম বেশি রাখার। এসব হাজীর বিরিয়ানির জন্য তাদের নাম ও সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
সোমবার (২১ জানুয়ারি) সরেজমিন পরিদর্শনে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীতে হাজীর বিরিয়ানির শাখা মূলত তিনটি। তাদের প্রধান শাখা ঢাকার বংশাল এ নাজিরাবাজারে ৭০ কাজী আলাউদ্দিন রোডে অবস্থিত। বাকি দু’টি শাখা ৯৯ মতিঝিল (করিম চেম্বার) বিমান অফিসের পাশে এবং আরেকটি প্রগতি সরণীর ক ১১/৬ রোড এ অবস্থিত। মতিঝিল শাখা দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে। আর প্রগতি সরণীর শাখা দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। এর বাইরে তাদের কোনো শাখা নেই। বাণিজ্যমেলার ভিআইপি গেট দিয়ে প্রবেশ করলে হাতের বামে একটু এগুলো হাজীর বিরিয়ানির ৫টি স্টল চোখে পড়ে। তাদের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী হাজীর বিরিয়ানির কোনো সম্পর্ক নেই। এরপরও তারা পুরান ঢাকার এতিহ্যবাহি হাজীর বিরিয়ানি বলে ভোক্তার কাছে দেদারচ্ছে বিরিয়ানি বিক্রি করছেন। অথচ এসব স্টলের কোল ঘেঁষে আছে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর অস্থায়ী অফিস।
এরপরও যেনো দেখার কেউ নেই। নামে বেশ কয়েকটি স্টল বসলেও সেগুলোর সবটাই ভূয়া নামে। তাদের সঙ্গে প্রকৃত হাজীর বিরিয়ানির কোনো সম্পর্ক নেই।
মেলার স্টলগুলোতেও ক্রেতারা নকল বিরিয়ানির দোকানের মাধ্যমে প্রতারিত হচ্ছেন। এসব নকল হাজীর বিরিয়ানি খেয়ে বিরিয়ানির মান ও স্বাদ আগের মতো নেই বলে ধারণা করছেন অনেকেই। গত ১৮ জানুয়ারি ক্রেতার কাছে মূল্য বেশি অভিযোগ আসে ভোক্তা অধিদফতরে। পরে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয় তারা।
আশরাফ আলী নামে এক দর্শনার্থী বাংলানিউজকে বলেন, দাম তো কম না। হাজীর বিরিয়ানি নাম ব্যবহার করে হাজীর সমমূল্যে বিক্রি করছেন তারা। এ প্রতারণার বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
হাজীর বিরিয়ানির মতিঝিল শাখার পরিচালক মো. জুয়েল টেলিফোনে বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের তিনটি শাখায় তাদের রান্নার মান ও স্বাদ একই বজায় থাকে। কিন্তু নকল হাজীর বিরিয়ানির জন্য তাদের নাম ও সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাণিজ্যমেলার স্টলগুলোর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। ক্রেতারা নকল বিরিয়ানির দোকানের মাধ্যমে প্রতারিত হচ্ছেন। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেলা কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি।
ভোক্তা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (গবেষণা) প্রণব কুমার প্রামাণিক বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় যে নামে স্টল নেওয়া আছে সে নামেই তারা দোকান পেয়েছে। প্রকৃত হাজীর ব্যানার ব্যবহার করায় সুনাম ক্ষুন্ন হলে তারা ভোক্তা অধিদফতরের হেড অফিসে অভিযোগ করতে পারবেন। পরে সেটা তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাজীর বিরিয়ানি স্টলের পরিচালক আবদুল কাদির বলেন, হজ করলেই হাজি হয়। এই হাজি মেলার হাজি। মেলা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের স্টলও শেষ হবে।
পুরান ঢাকার হাজীর বিরিয়ানি বলে কেনো বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কর্মচারীরা জানে না তাই বলে। তবে আমাদের বিরিয়ানির মানও খারাপ না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
ইএআর/এএটি